সম্প্রতি তার মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব ফিল্ম কাছের মানুষ দুরে থুইয়া বেশ সাড়া ফেলেছে দর্শকদের মাঝে। রোমান্টিক জনরার কাজে ফারিণ বরাবরই দুর্দান্ত হলেও থ্রিলারেও সমানতালে দেখা যায় ফারিণকে। তবে অভিনেত্রীর কাছে থ্রিলারের চেয়ে জীবনবোধের গল্পই বেশি প্রাধান্য পায়।
বিনোদন জগতে এখন ওটিটি প্ল্যাটফরমের দাপট।
সেই সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, থ্রিলারের আধিক্যে জীবনবোধের গল্প হারিয়ে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ফারিণ বলেন, “আমার ক্ষেত্রে যদি বলি, আমার বেশিরভাগ কাজই কিন্তু থ্রিলার না। ‘কারাগার’কে মিস্ট্রি থ্রিলার ধরা যায়। আমার সর্বশেষ দুটি হিট প্রজেক্টের (‘অসময়’ ও ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’) কোনোটাও থ্রিলার না। আমি ব্যক্তিগতভাবে থ্রিলারে আগ্রহীও না।চিত্রনাট্য যদি আমাকে সন্তুষ্ট করতে না পারে তাহলে থ্রিলার কোনো কনটেন্টে অভিনয়ের জন্য রাজি হই না। আমি বুঝতে পারি, গল্পে জোর করে থ্রিল আনা হয়েছে। পরে দেখি, আসলেই ঐ থ্রিলার গল্প দর্শক পছন্দ করেনি।”
মানুষ মুলত জীবনের গল্প পছন্দ করে এমনটা উল্লেখ করে ফারিণ বলেন, ‘আমার কাছে সব সময়ই মনে হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ মূলত নিজেদের গল্প দেখতে চায়। আমরা দক্ষিণ ভারতের ছবি যে দেখি, সেখানে কিন্তু তারা নিজেদের শেকড় আর সংস্কৃতির গল্প বলে। এটা নিয়েই তারা আজ অনেক উন্নতি করে ফেলেছে, আমাদেরও দেখতে ভালো লাগে। বাংলাদেশেও যেসব কনটেন্টে নিজেদের গল্প বলেছে, সেগুলো হিট করেছে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের সিরিজে যুক্ত হতে চায় যে কোনো অভিনয়শিল্পীই। আমাদের ইতিহাস এত সমৃদ্ধ, চাইলেই দারুণ দারুণ সিরিজ করা যায়। কেন হচ্ছে না, সেটা আসলে বলতে পারব না। পাশাপাশি সাহিত্যধর্মী কাজ নিয়েও বলতে চাই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এমন এমন ছোট গল্প বা উপন্যাস আছে, যেগুলো সব সময়ের জন্য আধুনিক। সেগুলো নিয়েও ভীষণ আক্ষেপ আছে, ঠিকঠাক পর্দায় উপস্থাপন করতে পারি না আমরা, যার কারণে জনপ্রিয় হয় না। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঠিকঠাক পর্দায় আনতে পারলে নতুন প্রজন্ম আগ্রহ নিয়ে দেখত।’
চলতি মাসের ২৪ মে মুক্তি পাচ্ছে তাসনিয়া ফারিণ অভিনীত ‘ফাতিমা’ । সিনেমাটিতে ছয় বছর আগে কাজ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। ধ্রুব হাসান পরিচালিত ‘ফাতিমা’ ইতোমধ্যে ইরানের ৪২তম ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কারও জিতে নেয়। ফারিণ ছাড়াও সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন পান্থ কানাই, তারিক আনাম খান, ইয়াশ রোহান, শাহেদ আলী সুজনসহ অনেকেই।