নাসিম রুমি: জনপ্রিয় দক্ষিণী তারকা থালাপতি বিজয় এবার সিনেমার গণ্ডি ছাড়িয়ে রাজনীতিতে যোগদান করছেন। বিজয়ের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে দলের নাম নথিভুক্ত করাতে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।
নির্বাচন কমিশনের কাছে যাওয়ার আগে সম্প্রতি নিজের দল নিয়ে পরিষদীয় বৈঠকও সেরে ফেলেছেন দক্ষিণী এই সুপারস্টার। এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, দলের পরিষদীয় বৈঠকে প্রায় ২০০ জন সদস্য হাজির ছিলেন। কার্যনির্বাহী কমিটি বিজয়কে সভাপতি চয়ন করেছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে দলের নাম নথিভুক্ত করা হলেই রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ের যাত্রা শুরু হবে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজে বেশ আগে থেকেই জড়িত রয়েছেন বিজয়। দুঃস্থদের খাদ্যসামগ্রী বণ্টন, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ বহন, গ্রন্থাগার নির্মাণ, এমনকি বিনা মূল্যে বহু ছেলেমেয়েকে টিউশনের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন বিজয়। অন্যদিকে কোর্ট-কাছাড়ি করতে গিয়ে টাকার অভাব পড়লে বিজয় বিনা মূল্যে আইনি সহায়তার ব্যবস্থাও করে দেন।
ইতোমধ্যে বেশ কিছু জনসভাও করেছেন অভিনেতা। আর তাতে মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছেন বিজয়। তাই সিনেমা নিয়ে আর বেশি ভাবছেন না অভিনেতা। শুধু তাই নয়, ক্যারিয়ারের শেষ সিনেমার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
বিজয়ের শেষ সিনেমার নাম ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে নানান প্রশ্ন। সত্যি কি সিনেমায় ইতি টানবেন অভিনেতা? কেনই বা এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ভক্তদের মাথায়।
ক্যারিয়ারে ৬৯তম সিনেমায় শেষবারে মতো প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে বিজয়কে। সিনেমার নাম ‘জন নায়ক’। মূলত বিজয় রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন। তাই আর সিনেমা করবেন না অভিনেতা। সিনেমাতেও রয়েছে রাজনীতির ছাপ। এইচ বিনোদ পরিচালিত ‘জন নায়ক’ সিনেমায় একজন রাজনৈতিক নেতার চরিত্রে দেখা যাবে বিজয়কে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘জন নায়ক’ সিনেমার ফার্স্ট লুক শেয়ার করেছেন বিজয়। সেখানে সাদা পোশাকে বহুলোকের সামনে দেখা গেছে তাকে। সেই সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, শিগগিরই আসবে সিনেমার সেকেন্ড লুকও।
দক্ষিণী সিনেমায় মেগাস্টারদের মধ্যে প্রথম দিকের তালিকায় রাখা হয় বিজয়কে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা পোষণ করছিলেন।