নাসিম রুমি: দেশের সবচেয়ে বড় নায়ক শাকিব খান। দেশের সবচেয়ে সফল বহুমাত্রিক অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। দেশের সবচেয়ে বাণিজ্যিক সফল নির্মাতা রায়হান রাফী। দেশের অন্যতম মুগ্ধময় মডেল-সঞ্চালক-অভিনেত্রী নাবিলা এবং দেশের দুই প্রশংসিত প্রযোজক রেদওয়ান রনি ও শাহরিয়ার শাকিল।
বুধবার (১২ জুন) রাতে সাংবাদিকদের সাক্ষী রেখে প্রথমবার একই মঞ্চে ঢাকার অভিজাত এক হলরুমে বসলেন সবাই। টিম হিসেবে যেটি এই সময়ে ঢালিউডের সবচেয়ে প্রভাবশালী। তাদের উদ্দেশ্য এক, মুক্তিপ্রতীক্ষিত ‘তুফান’ সম্পর্কে গল্প করা। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে যেন অন্যআলো হয়ে ধরা দিলেন কলকাতা থেকে উড়ে আসা মিমি চক্রবর্তী। চলনে-বলনে মুহূর্তেই হয়ে উঠলেন সব সেরাদের মধ্যমণি। এমনকি গ্রুপ ছবিতে দাঁড়িয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি নিজ হাতে এঁকে দিলেন ভালোবাসার চিহ্ন; হার্ট। মূলত সেটি সাংবাদিকের ক্যামেরা ও কলম ধরে গোটা বাংলায় ভালোবাসার হৃৎস্পন্দন ছড়িয়ে দেওয়ার উপলক্ষ মাত্র।
মিমির ভালোবাসা চিহ্নে মুগ্ধ হওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘তুফান’ তৈরির নানা অজানা কথা। শিল্পীরা তাদের অভিজ্ঞতার গল্প শোনান সবাইকে।
শাকিব খান নতুন করে পুরনো ভবিষ্যদ্বাণীই করলেন। বললেন, ‘‘দর্শক আমাদের পাশে থাকলে ‘তুফান’ ইতিহাস গড়বে।’’
মিমি বললেন, ‘মেগাস্টার শাকিব খানের সাথে স্ক্রিন শেয়ার করতে পারা আমার জন্য এক বিরাট ব্যাপার ছিল।’
নাবিলা বললেন, ‘‘এত বছর পর বড় পর্দায় ফিরছি ‘তুফান’ দিয়ে। সবার এত সাড়া আর আগ্রহ দেখে মনে হচ্ছে প্রথম সিনেমার পর এত বছরের অপেক্ষাটা বৃথা যায়নি।’’
বলা দরকার, নাবিলার প্রথম সিনেমাটিও সুপারহিট। অমিতাভ রেজার ‘আয়নাবাজি’। যেখানে তার নায়ক হিসেবে পেয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরীকে। এত বছর পর ফের এই ছবিতেও সহশিল্পী হিসেবে চঞ্চলকে পেলেন নাবিলা। সেটি নিয়েও নায়িকার স্বস্তি কম নয়।
এদিকে চঞ্চল চৌধুরী বললেন, ‘শাকিব খানের সঙ্গে পর্দা ভাগ করার ইচ্ছা ছিল বহুদিনের। নির্মাতা ও প্রযোজককে ধন্যবাদ এই যাত্রায় আমাকে যুক্ত করার জন্য।’
ক্যাপ্টেন অব দ্য ‘তুফান’ রায়হান রাফী বললেন, ‘‘তুফান’ এমন একটা ছবি যেটা বাংলা সিনেমাকে বিশ্ব দরবারে নতুন ভাবে চেনাবে। অনেক সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে পরিবর্তন করে। ‘তুফান’ তেমন একটা সিনেমা হতে যাচ্ছে। বাংলা সিনেমার স্কেলটাকে অনেক হাই করবে।