নাসিম রুমি: আসন্ন ঈদে মুক্তির মিছিলে এগিয়ে রয়েছে চিত্রনায়ক শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘তুফান’। সদ্য সিনেমাটি আনকাট ছাড়পত্র পেয়ে আরও একধাপ এগিয়ে। এই সিনেমার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও সে সব আমলে না নিয়ে মুক্তির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড।
রায়হান রাফি পরিচালিত ‘তুফান’ সিনেমাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ রয়েছে, এই সিনেমা নির্মাণের মাধ্যমে ভারতে অবৈধভাবে পাচার করা হয়েছে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা বললেন আরশাদ আদনান।
বুদবার (০৫জুন) বিকেলে ১৯ সংগঠনের উদ্যোগে স্টার সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে এক আলোচনা সভায় ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান এই অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি এই সিনেমার বাজেট ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা। এত টাকা আপনি ভারতে নিয়েছেন কীভাবে? আপনি কি এনবিআরের ছাড়পত্র নিয়েছেন? আর নিলেও কত টাকার ছাড়পত্র নিয়েছেন? আমি একজন সাধারণ প্রযোজক হিসেবে জানতে চাই, এভাবেও কী বিদেশে টাকা নেওয়া সম্ভব?’
আরশাদ আদনান বলেন, ‘৬০ থেকে ৮০ লাখ টাকা এনবিআরকে দেখিয়ে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার সিনেমা বানালো। এই শুভঙ্করের চালটা কী, আলাদিনের চেরাগ কি করে পেল আমি তো বুঝি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশে কাজ করার নিয়মনীতি তো আছে। আমিও আমেরিকাতে শুটিং করেছি। বৈধ টাকা নিয়ে সবকিছু ক্লিয়ার করে কাজ করেছি। আসলে কী সৎ থাকার ইচ্ছে থাকতে হয়। সর্বোপরি দেশকে না ঠকানোর ইচ্ছে থাকতে হয়। দেশকে কেন ঠকাবো? দেশের যেটা প্রাপ্য, সেটা দিই না কেন দেশকে?’
এই প্রযোজক বলেন, ‘শাকিব খান ও চঞ্চল চৌধুরীর পারিশ্রমিক দেশে দেওয়া হয়েছে। আড়াই পার্সেন্ট হারে টাকা দিয়ে তিন শিফটে কাজ করে ৬০ লাখ টাকা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গিয়ে সেখানে শুটিং করা কীভাবে সম্ভব, তা আমার জানা নেই। আমিও তো ৪-৫টি বাংলা চলচ্চিত্র বানিয়েছি। সেটা কীভাবে সম্ভব?’
আরশাদ আদনান বলেন, ‘এখন আমাদের প্রশ্ন করার সময় এসেছে। নিজেরা আলাপ না করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন করতে হবে। এভাবেই চলবে?’
বলে রাখা ভালো, শুরু দিকে সিনেমাটি যৌথ প্রযোজনার বলা হলেও বুধবার (০৫ জুন) সিনেমাটির ছাড়পত্রে দেখানো হয়েছে দেশীয় সিনেমা। এ নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ঢাকার চরকি ও আলফা আই, ভারত থেকে যুক্ত এসভিএফ। শাকিব খান ছাড়াও এই সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেত্রী মিম চক্রবর্তী, নাবিলা প্রমুখ।