সাজিব আহম্মেদ সজিব: বৈশাখী টেলিভিশনে আজ রাত ১০.০০টায় প্রচার হবে তাসনিয়া ফারিন ও তৌসিফ অভিনীত শনিবারের বিশেষ নাটক ‘তুমি আছো হৃদয়ে’। গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় হাসিব হুসাইন রাখি। নাটকের কাহিনী টিনেজ প্রেমের গল্প নিয়ে।
গল্পের শুরুতেই দেখা যায় গল্পের নায়ক তৌসিফ একজনের সঙ্গে মেস মেম্বার হয়ে একটি রুমে উঠে। লোকটি ছোটখাটো চাকরি করেন। কিন্তু সবকিছুতেই সচেতন। এখানে থাকলে আশপাশের কোনো মেয়ের দিকে তাকানো যাবে না বলে সাবধান করে দেয়। কোনো নেশা করা যাবে না ইত্যাদি। অথচ লোকটি নিয়মিতই সিগারেট পান করে যা তৌসিফের পছন্দ নয়।
একরাতে দেখা যায় লোকটি মদ নিয়ে বসে আছে রাতের আয়োজনে। তৌসিফকেও খেতে উদ্বুদ্ধ করে। এভাবেই সময় পেরিয়ে যায়। একদিন অফিস যাওয়ার পথে কলেজ পড়–য়া এক মেয়েকে দেখে পাগল হয়ে যায় তৌসিফ। এরপর থেকে প্রতিদিনই মেয়েটি যখন কলেজে যায় তখন দাঁড়িয়ে থাকে। তার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু মেয়েটি কখনও খেয়াল করে না। তার একমাত্র স্বপ্ন সে লেখা পড়া করে অনেক বড় হবে। বিষয়টি নিয়ে মেয়েটি তার প্রিয় বান্ধবীর সঙ্গে আলাপ করে।
তৌসিফ তার সবই শোনে। একদিন তৌসিফ মেয়েটিকে অভিনব কায়দায় প্রেম নিবেদন করে। তার কাছে নানা গিফট পাঠিয়ে নিজেকে আড়াল করে রাখে তৌসিফ। এতদিন গিফট বক্সের ভেতর শুধু ফুল আর সাদা কাগজ ছিল। একদিন ছেলেটি চিঠি লেখে। সকাল ৯.০০টায় কলেজের পেছনে দেখা করতে চায়। অজানা অচেনা মানুষের কাছ থেকে একের পর এক ফুল আর কাগজ পেয়ে মেয়েটি এমনিতেই এলোমেলো, তারওপর সরাসরি দেখা করতে চাওয়ায় মেয়েটি কেমন যেন হয়ে যায়।
রাতের ঘুম লেখাপড়া সব চাঙ্গে ওঠে। সবকিছুতেই এই আগন্তুককে নিয়ে ভাবনা। সারারাত দেখা করবে না বলে প্রতীজ্ঞা করে কিন্তু ৯.০০টায় ঠিকই কলেজের পেছনের দেয়াল টপকে ছেলেটির সঙ্গে দেখা করতে যায়। দেয়াল টপকে নিচে পড়ে গেলে ছেলেটি হাত বাড়িয়ে দেয়। এই প্রথম ছেলেটি দেখে মেয়েটি কেমন যেন হয়ে পড়ে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ছেলেটির হাত ধরে উঠে দাঁড়ায়।
যখন জানতে পারে এই মানুষটিই তার রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে, তখন কিছু বুঝে ওঠার আগেই দৌড় দিয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে যায় মেয়েটি। এরপর থেকেই দু’জনের প্রেম চলতে থাকে। দু’জন দু’জনকে ছাড়া কিছুই বুঝে না। আইএ পরীক্ষা দেয় মেয়েটি। ভালো রেজাল্ট করে। মেয়ের রেজাল্টে বাবা মা দারুণ খুশি। বাবা মিষ্টি খাওয়াতে খাওয়াতে বলে-একদিন মেয়েটি তো আমাদের ছেড়ে চলে যাবে। বাবার দুর্বলতা বুঝতে পেরেই মেয়েটি বলে ওঠে- বাবা আমি একটি ছেলেকে ভালোবাসি।
তিন বছরের সম্পর্ক আমাদের। ও খুব ভালো। বাবা মেয়ের কথা শুনে স্ত্রীকে নিয়ে ছেলের বাড়িতে মা বাবার সাথে কথা বলতে যায়। বিয়ে চূড়ান্ত করে ঠিক সেই মুহূর্তে বেরিয়ে আসে এক অজানা কাহিনী। নির্মম সত্য জানতে পেরে মেয়ের বাবার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। তিনি ভাবতেও পারেনি তার জন্য এমন যন্ত্রণা অপেক্ষা করছে। এভাবেই এগিয়ে চলে নাটকের কাহিনী।