বলিউডের আবেদনময়ী অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম একজন নার্গিস ফাখরি। স্বল্প সময়েই বলিউডে নিজেকে গ্ল্যামার আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ‘রকস্টার’ চলচ্চিত্রে রণবীর কাপুরের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন নার্গিস ফাখরি। এরপর তিনি মাদ্রাজ ক্যাফে, ফাটা পোস্টার নিখলা হিরো, ম্যায় তেরা হিরো’র মতো চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
তবে অভিনয়ে তারকাখ্যাতির পাশাপাশি বেশ কিছু গুজবের শিরোনামেও পরিনত হয়েছিলেন নার্গিস। এর আগে অভিনেতা উদয় চোপড়ার সাথে তার ডেটিং করার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর কাশ্মীরে জন্মগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্রে একজন উদ্যোক্তা টনি বেইগের সাথে ডেটিং করার গুজবও উঠেছিল। তবে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে নার্গিস বলেছিলেন, “আমার আঙুলে একটি আংটি না পরা পর্যন্ত আমি অবিবাহিত। ”
বর্তমানে বলিউডের গ্ল্যামার জীবন থেকে অনেকটাই দুরে আছেন নার্গিস। ইদানিং আর পর্দায়ও আসছেন না। সামনে নেই তার কোনো বড় কাজের ঘোষণাও। তবে অভিনয় জীবন থেকে আড়ালে থাকলেও নার্গিস ফাখরিকে নিয়ে ভক্ত অনুরাগীদের কৌতুহল আগের মতোই রয়েছে। অভিনত্রীর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিব্রতবোধ করেন নার্গিস। জানালেন খোদ নিজেই। সম্প্রতি একটি ভারতীয় পোর্টালের সাথে আলাপকালে নার্গিস তার ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা সম্পর্কে কথা বলেছেন।
নার্গিস ফাখরি বলেছেন যে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনের কিছু দিক একান্তই গোপন রাখতে চান। তিনি বলেন, পাপারাৎজি সংস্কৃতি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে অভিনেতাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে অন্যের হস্তক্ষেপ বেড়েছে। তিনি আরো বলেছেন যে লোকেরা যখন তার ডেটিং জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে তখন তিনি অবাক হন! এটাকে অদ্ভুত বলে মনে করেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ ১৮-এর সাথে একটি নতুন সাক্ষাৎকারে নার্গিস তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বলেন, “আমি একজন সৎ এবং খাঁটি মানুষ। লোকেরা আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে আমি কোনো সমস্যা দেখি না। কিন্তু সমস্যা হল কিছু লোক আমার কাজের পরিবর্তে অন্যান্য বিষয়ে আগ্রহী। ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই তাদের সব প্রশ্ন। আমি আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কথা বলতে বিব্রত বা লজ্জিত নই। তবে সত্যি কথা বলতে, আমি আমার কাজের বিষয়ে কথা বলতেই বেশি আগ্রহী। কাজ আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিছু মানুষ আছে যারা তাদের প্রেমের জীবন সম্পর্কে প্রকাশ্যে কথা বলে না। তাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করা উচিত। তাদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রবেশ করতে চাওয়া উচিত নয়।
অভিনেতাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের জন্য ইন্টারনেটকে দায়ী করেন অভিনেত্রী। এ বিষয়ে নার্গিস বলেন, “ফোন জানে আমরা কি ভাবছি, কারণ তারা আমাদের কীস্ট্রোক নিবন্ধন করে রাখে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জানে, আমরা সাধারণত কি দেখি। ইন্টারনেট বর্তমানে গোপনীয়তার সংজ্ঞাকে বদলে দিয়েছে। মনে হচ্ছে আমরা প্রায় নগ্ন! আমি মাঝে মাঝে বিরক্ত বোধ করি, কেন লোকেরা আমর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে এতো আগ্রহ দেখাবে? আমি কার সাথে ডেট করি তা নিয়ে তারা কেন চিন্তা করবে? তাদের আগ্রহ আমার জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে আমি এই বিষয়গুলোতে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করি।
সামনে তেলেগু চলচ্চিত্র ‘হারি হারা ভিরা মাল্লু’তে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। কৃষ জাগারলামুদি রচিত ও পরিচালিত চলচ্চিত্রটিতে আরো অভিনয় করছেন নিধি আগরওয়াল ও অর্জুন রামপাল।