ধারাবাহিকটির গল্পে দেখা যাবে—শিমুলতলী গ্রামের একটি বাড়ি তালুকদার বাড়ি। এই বাড়ির গৃহকর্তা মরহুম মোহরম তালুকদার সংসারে ছয় মেয়ে এবং প্রচুর বিষয়সম্পত্তি রেখে গেছেন। বংশ রক্ষার তাগিদে একে একে ছয়টি মেয়ে হয় তার কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পুত্র সন্তানের মুখ দেখা হয়নি। তার আগেই মৃত্যু হয়েছে তার। মোবারক তালুকদারের স্ত্রী আমেনা ছয় মেয়ে জুই, জবা, বেলী, শাপলা আর টগর শিউলীকে নিয়ে দিন কাটান।
পর্যাপ্ত টাকা পয়সা থাকা সত্ত্বেও তিনি এক মেয়ে ছাড়া অন্য মেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে পারেননি। কারণ লেখাপড়ার ব্যাপারে তাদের কারোই তেমন আগ্রহ ছিল না। লেখাপড়ার প্রসঙ্গ আসলেই শুরু হয় টালবাহানা। বড় মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর অন্যদের বিয়ের বয়স হয়ে গেলেও তিনি বিয়ে দিতে পারছেন না। এখানেও টালবাহানা। আমেনা বেগম এই নিয়ে তিনি বেশ চিন্তিত। তার একমাত্র ভরসা বড় মেয়ের জামাই মোফাক্কর।
আমেনা বেগম বড় মেয়ে জুইকে পাঁচ বৎসর আগে বিয়ে করেন ভিন্ন জেলার ছেলে মোফাক্কর। বিয়ের পর মোফাক্কর স্থায়ী ভাবে শ্বশুর বাড়িতে চলে আসে। সেখানে থাকে নানান টালবাহানা। তার কথা বাড়িতে একজন পুরুষ মানুষ না থাকলে কেমনে হয়? আমেনা বেগমও বিষয়টা মেনে নেয়। তারপর থেকেই ঘর জামাই হিসাবে শ্বশুর বাড়িতে থাকা শুরু করে মোফাক্কর। আর মোফাক্করের পাঁচ শালীর একেক জনের সঙ্গে তার একেক রকম সম্পর্ক। মূলত পাঁচ শালীর সাথে তার সম্পর্ক এবং আচার-আচরণ নিয়েই এই নাটকের গল্প এগিয়ে যায়।
ধারাবাহিকটি নিয়ে ফরিদুল হাসান বলেন, নাটকটিতে পরিবারের গল্প বলা হয়েছে। বর্তমানে সেরকম পরিবারের গল্প হয় না বললেই চলে। আমি বরাবরই পারিবারিক গল্পে কাজ করে থাকি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দর্শক চাহিদার কথা মাথায় রেখেই নির্মাণ করি। হাস্যরসের মধ্যে গল্পে রয়েছে সামাজিক বার্তা। আশা করি, দর্শকদের ধারাবাহিক নাটকটি ভালো লাগবে।
নির্মাতা জানান, ‘বাহানা’ ধারাবাহিকটি আসছে ৩০ এপ্রিল বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভিতে প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় প্রচার হবে। এরপর টেলিভিশনটির ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাভিশনে ফরিদুল হাসানের প্রচার চলতি ধারাবাহিক নাটক ‘ফাঁপর’। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি ধারাবাহিকটির প্রচার শুরু হয়। এতে অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা শিল্পী।