ঐতিহাসিক চরিত্র ‘দেবী চৌধুরানী’ নিয়ে তৈরি হচ্ছে সিনেমা। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ঐতিহাসিক চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা যে কতটা কঠিন তা বুঝতে পারছে এ সিনেমার পুরো টিম। কিছুটা টের পেয়েছেন সিনেমার নায়িকা শ্রাবন্তী!
‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার চরিত্র নিয়ে প্রস্তুতির তালিকায় রয়েছে ঘোড়ায় চড়া শেখা থেকে শুরু করে তলোয়ার খেলাও। সেই কারণে সব কিছু ভুলে তলোয়ার চালানো শেখায় মগ্ন হয়েছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া এতে আরও অংশ নিয়েছেন বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী ও পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র।
তলোয়ার চালানো কক্ষে সুরক্ষার কারণে এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম নেই। পাখার হাওয়ায় তলোয়ার খেলা শিখতে শিখতে দরদর করে ঘামছেন অভিনেতা অভিনেত্রী থেকে শুরু করে নির্মাতা। এর মধ্যেই চলছে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। কখনো তলোয়ার খেলা আবার কখনো বিভিন্ন ফিটনেস ট্রেনিং, যুদ্ধের ধরণ- সব মিলিয়ে সবাই যেন ফিরে গিয়েছেন ইতিহাসে।
তলোয়ার চালানো অভিজ্ঞতা সম্পর্কে শ্রাবন্তী বলছেন, ‘দেবী চৌধুরানী আমার ক্যারিয়ারের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। যেমন আমি এ ছবিটার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছি, তেমনই যারা আমায় ভালোবাসেন তারা অপেক্ষা করে রয়েছেন আমায় দেবী চৌধুরানীর লুকে দেখার জন্য। আমিও প্রাণ ঢেলে নিজেকে তৈরি করছি। এই ছবির জন্য ঘোড়সওয়ার, তলোয়ার চালানোসহ সব শিখতে হচ্ছে। আমার কাছে এগুলো একেবারে নতুন, ফলে কঠিনও।’
শ্রাবন্তী আরও বলেন, ‘কিন্তু আমি চেষ্টা করছি আর উপভোগও করছি। প্রাজ্ঞর কাছে আমি ট্রেনিং নিচ্ছি আর ও ভীষণ ভালভাবে, ধরে ধরে শেখাচ্ছে সবটা। ২ দিন শেখার পরে আমার যেমন ভালো লাগছে, তেমন কঠিনও লাগছে। নিজে স্বপ্ন দেখছি, আমায় দেবী চৌধুরানীর সম্পূর্ণ লুকটায় কেমন লাগবে। যখন তলোয়ার চালনা করব দেবী চৌধুরানীর লুকে, আমায় কেমন লাগবে সেটা নিয়ে স্বপ্ন দেখছি। আশা করছি আমার ভালোবাসার মানুষদের খুব ভাল লাগবে।’
শ্রাবন্তীকে নিয়ে নির্মাতা শুভ্রজিৎ মিত্র বলেন, ‘শ্রাবন্তী ছাত্রী হিসেবে লেটার নম্বর পাবে। ওর মধ্যে ভীষণ উৎসাহ রয়েছে, প্রাণশক্তি রয়েছে যেটা প্রশিক্ষণের সময় ও অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেয়। ঘোড়সওয়ারি শেখার সময়ও এটা দেখেছি। এখনো অনেক প্রশিক্ষণই বাকি রয়েছে। আমি নিজে ভীষণ আশাবাদী।’