অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরুর পর চিত্রগ্রহণে নাম লেখান মাহফুজুর রহমান খান এবং দেশেরঅন্যতম চিত্রগ্রাহক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তিনি চিত্রগ্রহণে আগ্রহী হন, তারপর বাবারক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে হাতেখড়ি। চিত্রগ্রহণ শেখার উদ্দেশ্যে তিনি জহির রায়হানের ‘লেট দেয়ার বি লাইট’ ছবির সেটে যেতেন। এ ছাড়া রফিকুল বারী চৌধুরী ও আবদুল লতিফ বাচ্চুর কাছ থেকে চিত্রগ্রহণের বিভিন্নবিষয় শিখেছেন। নয় বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রয়াত চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খানের মৃত্যুর তিনবছর পর দর্শকের সামনে আসছে চল্চ্চিত্র ‘থার্টি ফাইভ’। আশিক মোস্তফা নির্মিত চলচ্চিত্রটির দৃশ্যধারণ শেষহওয়ার পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মৃত্যু হয়েছে মাহফুজুর রহমানের। ৩৫ মিলিমিটার যুগের সেই সময়েরএফডিসি কেমন ছিল, কীভাবে দৃশ্য ধারণ করা হতো—মাহফুফুজুর রহমানের বয়ানে তা তুলে ধরা হয়েছে। এতেএকটি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী আইরিন সুলতানা।
থার্টি ফাইভ চলচ্চিত্রের পরিচালক আশিক মোস্তফা একজন স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক এবংলেখক। তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে স্নাতক করেছেন নিউ ইয়র্কের স্কুল অফ ভিজ্যুয়াল আর্টস থেকে। ২০০২সালে ১৬ মিমি-এ নির্মাণ করেন “ফুলকুমার”। ‘কাল্ট ক্ল্যাসিক’ হিসাবে বিবেচিত এই চলচ্চিত্রটি তখনঅসংখ্য নবীন নির্মাতাদের অণুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। তিনি ২০১৭ সালে মোবাইল ফোনে ধারণকৃত স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি‘ইন্টেরিয়র্স অ্যান্ড এক্সটেরিয়র্স’-এর জন্য জিলাভা চলচ্চিত্র উৎসবে বেস্ট শর্ট ডকুমেন্টারি অ্যাওয়ার্ডপেয়েছেন। নিভৃতচারী এই চলচ্চিত্র নির্মাতা ইতিমধ্যে নির্মাণ করেছেন আরও কিছু চলচ্চিত্র যার মধ্যে রয়েছেস্বল্পদৈর্ঘ্যের ‘বিরানি’ ও শিল্পী মনিরুল ইসলামকে নিয়ে ‘মনির’ নামের পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি। আশিক মোস্তফারচলচ্চিত্রগুলো মূলতঃ নিরীক্ষাধর্মী ও আভাগার্দ ধাঁচের।