৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে হলিউডের সাম্প্রতিক আলোচিত ছবি ‘বুলেট ট্রেন’। একই দিনে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে ছবিটি। বিখ্যাত জাপানি উপন্যাস ‘মারিয়া বিটল্’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে এই ছবি। পরিচালনা করেছেন ‘ডেড পুল ২’ এবং ‘ফার্স্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’খ্যাত পরিচালক ডেভিড লিচ।
জাপানের টোকিও শহর থেকে মরিওকা শহরের ট্রেন স্টপেজ পর্যন্ত চলা একটি বুলেট ট্রেনের মধ্যে দেখা হবে পাঁচজন ভাড়াটে খুনির। নিজ নিজ মিশন নিয়ে বুলেট ট্রেনে ওঠে তারা। কিন্তু একসময় বোঝা যায়, তাদের কাজ পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। তখনই শুরু হয় তুলকালাম কাণ্ড। পাঁচ আততায়ীর মধ্যে অন্যতম একজন ব্র্যাড পিট। এই নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে আসে রুপালি পর্দার সুদর্শন এক তারকার অবয়ব, যিনি হলিউডে সফল ক্যারিয়ারের পাশাপাশি বিলাসবহুল জীবনযাপন বা সুন্দরী নায়িকাদের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে সব সময়ই মিডিয়া বা সাধারণ মানুষজনের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। গত তিন দশকে ইন্টারভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ার, ওশেনস ট্রিলজি, ট্রয়, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ, ওয়ার্ল্ড ওয়ার জিয়ের মতো বাণিজ্যিক ছবির জন্য যেমন তিনি বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখেছেন, ঠিক তেমনি টুয়েলভ মাংকিস, বাবেল, দ্য ট্রি অব লাইফ, মানিবলের মতো ছবির মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে নিজের সামর্থ্যটাও ভালোমতোই প্রমাণ করেছেন। প্রায়ই বলা হয়ে থাকে যে চলচ্চিত্র তারকারা সাধারণত চরিত্রাভিনেতা হিসেবে সুবিধা করতে পারেন না। কিন্তু পিট হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা হওয়ার পাশাপাশি চরিত্রাভিনেতা হিসেবেও যথেষ্ট সফল। স্যার এন্থনি হপকিন্স একবার তার সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘সে একজন চরিত্রাভিনেতা, যে কিনা তারকার শরীরে বন্দি। ‘ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল ব্র্যাড পিট অভিনীত ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড’। এ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য অস্কার জিতেছিলেন তিনি। এর পর থেকেই ভক্তদের অপেক্ষা আরো তীব্র হয় প্রিয় অভিনেতার নতুন ছবি দেখার জন্য। তিন বছর পর সেই অপেক্ষার অবসান ঘটছে।
ছুটে চলছে বুলেট ট্রেন, ঘটছে ভয়ানক সব ঘটনা। আর সেই ট্রেনে ব্র্যাড পিটের সঙ্গে সওয়ার হলেন স্যান্ড্রা বুলক। আর এটিই হতে যাচ্ছে ব্র্যাড পিটের সঙ্গে এ নায়িকার প্রথম ছবি। এর আগে ‘ওশানস ১১’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে অভিনয় করলেও একই ছবিতে ছিলেন না তারা। আরো অভিনয় করছেন লেডি গাগা, জো কিং, অ্যারন টেইলর জনসন, ব্রায়ান টাই হেনরি, যাজি বিটজ, মাইকেল শ্যানন, লোগান লরম্যান, মাসি ওকা ও অ্যান্ড্রু কোজি। জানা যায়, ছবির ৯৫ শতাংশ ফিজিক্যাল স্টান্ট ব্র্যাড নিজেই করেছেন। শুধু স্টান্ট নয়, অ্যাকশন এবং ফাইট সিকোয়েন্সও ‘পারফর্ম’ করেছেন খোদ ব্র্যাড। সেই পারফরম্যান্স পর্দায় কিভাবে ফুটে উঠেছে তা দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন অগণিত দর্শক।