নাসিম রুমি: এই মুহূর্তে তাঁর ব্যস্ততা তুঙ্গে। তবুও সময় করে এক দিনের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন। উপলক্ষ ছিল বাংলাদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘চরকি’র ভারতে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান। সাম্প্রতিক অতীতে ‘হাওয়া’-র মতো ছবি বা ‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজ়ের দৌলতে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী এ পার বাংলাতেও সমান জনপ্রিয়।
ইতিমধ্যেই এ পার বাংলায় সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত মৃণাল সেনের বায়োপিক ‘পদাতিক’-এ অভিনয় করেছেন চঞ্চল। পাশাপাশি কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ওয়েব সিরিজ় ‘গণদেবতা’য় অভিনয় করার কথা তাঁর। টলিপাড়া থেকেও একের পর এক কাজের প্রস্তাব আসছে চঞ্চলের কাছে। তবে তিনি কিন্তু জল মেপে পা ফেলতে চাইছেন। কারণ কী? চঞ্চল বললেন, ‘‘আসলে এই মুহূর্তে আমি একটু বেছে কাজ করতে চাই।
কারণ, কেরিয়ারের শুরুতে আমি বাংলাদেশে টিভিতে চুটিয়ে অভিনয় করেছি। তার পর সিনেমায় আসার পর দর্শকদের যে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছি সেটা হারাতে চাই না। একটা মানদণ্ড বজায় রাখতে চাই।’’
কথা প্রসঙ্গেই চঞ্চল জানালেন, ‘হাওয়া’ মুক্তির পর টলিপাড়া থেকে তাঁর কাছে ঘন ঘন কাজের প্রস্তাব আসতেই থাকে। কিন্তু চঞ্চলের মতে, ‘ব্যাটে-বলে’ হচ্ছে না। কারণ অভিনেতা স্পষ্ট বললেন, ‘‘মধ্যমানের কাজের সংখ্যা বেশি হলে দর্শক তখন আর আমার দিকে ঘুরেও তাকাবেন না।’’ তা হলে নির্মাতাদের কি সরাসরি ‘না’ বলে দিচ্ছেন এই চর্চিত অভিনেতা? হেসে বললেন, ‘‘মুখের উপর বলি না। কোনও গল্পের একটা অংশ ভাল লাগে। আবার ডেটের সমস্যার জন্যও অনেক কাজ করা হয় না।’’
নতুন কাজ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও চঞ্চলের বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। সেখানে গল্প এবং পরিচালক অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি নিজের চরিত্রটা কী রকম, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেন অভিনেতা। বললেন, ‘‘আমি নিত্যনতুন চরিত্রে অভিনয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। সেখানে আমার লুকগুলোও যেন নতুন হয়, সেটাও আশা রাখি। একই ধরনের চরিত্রে বার বার অভিনয় করতে আমি রাজি নই।’’ নিজের কোনও প্রজেক্ট থেকে তাঁর কি বিশেষ কোনও প্রত্যাশা থাকে? উত্তরে চঞ্চল বললেন, ‘‘আমার কোনও কাজ থেকে আমি কিছু প্রত্যাশা করি না, আবার হয়তো অনেক কিছু আশাও করি। অভিনয়টা আমার কাছে পরীক্ষা দেওয়ার মতো। নম্বর দেবেন দর্শক।