ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্ষীয়ান পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু অভিযোগ করে বলেছেন, শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুজহাত ইয়াসমিন তার পছন্দের প্যানেল ও শিল্পীদের সাপোর্ট করেছেন। নির্বাচনে বিশেষ কাউকে জেতাতে তিনি পরিচালকদের এফডিসিতে ঢুকতে দেননি।
এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের পদত্যাগের দাবিতে চলা আন্দোলনের মধ্যে রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করে তিনি।
এদিন এফডিসির গেটে অবস্থান নেন চলচ্চিত্রের ১৭টি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এফডিসির নুজহাত ইয়াসমিনের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তারা।
দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ‘পরিচালকরা ভোটের দিন এফডিসিতে এসে যদি ভোট চাইতো তাহলে আমাদের কথা ফেলতে পারতেন না ভোটাররা। আমরা যাতে ভোট চাইতে না পারি; সেজন্য এমডি জেনে বুঝে আমাদের এফডিসিতে প্রবেশ করতে দেননি। এজন্য আমরা এফডিসিতে থেকে তার অপসারণ চাই। সেই সঙ্গে সরকারের কাছে তার ব্যাংক হিসেব তলব করার দাবি জানাই। শুনেছি উনি অনেক অর্থের মালিক। কীভাবে উপার্জন করলেন এতো টাকা সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখুক।’
‘আমার যদি চলচ্চিত্রে মানুষ হয়ে থাকি তাহলে এই এমডি এফডিসিতে থাকতে পারবেন না। সরকার চাইলেও তিনি থাকতে পারবেন না। আমরা রাস্তায় শুয়ে থাকবো। এই এমডিকে নিয়ে আমরা এফডিসিতে কাজ করতে চাই না। এই এমডি আমাদের চান না। এই এফডিসি গড়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এখানে তার স্মৃতি ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন তিনি। আমরা জেনেছি তার ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো না। তিনি অন্যরকম মানুষ যা আমাদের সঙ্গে মেশে না।”
শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, সাংবাদিক সম্মেলন করে তা নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিন।
রোববার দুপুরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘শিল্পী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে শিল্পী সমিতির ভোটারদের বাইরে অন্য ১৭টি সগঠনের সদস্যদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উপর মহলের নির্দেশেই এটা করা হয়েছে। করোনার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। এখানে আমার কিছু করা নেই। যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে আশা করছি শিগগির তার অবসান হবে।’