জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ ও ধনকুবের সুকেশ চন্দ্রশেখরের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। জ্যাকলিনকে পুলিশ ও তদন্ত সংস্থার কাছে যেতে হয়েছে বারবার। জ্যাকলিন ও সুকেশের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে সেতু হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন এক নারী। আলোচিত সেই পিঙ্কি ইরানিকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ।
গতকাল বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। আদালত তাকে তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পিঙ্কিই জ্যাকলিন ফার্নান্দেজকে দেখা করিয়েছিলেন সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে। ২০০ কোটি রুপির আর্থিক প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছে তারও।
পুলিশের মুখপাত্র সুমন নালওয়া এ বিষয়ে জানান, পিঙ্কির বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ পাওয়ার পর গ্রেপ্তার করা হয় এবং আদালতে পেশ করা হয়। আদালতের তরফে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরো তদন্ত বাকি আছে এই নিয়ে।
দিল্লি আদালতের পক্ষ থেকে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে জ্যাকলিনের। বলা হয়েছে, যেহেতু তদন্তের সময় ইডি তাকে গ্রেপ্তার করেনি, তাই তিনি জামিন পাওয়ার যোগ্য। আদালতের পক্ষ থেকে এ নিয়ে ইডিকে ভর্ৎসনাও করা হয়।
পাচার মামলায় সুকেশ এখন তিহার জেলে। জ্যাকলিন জামিনে রয়েছেন। গত ১৭ আগস্ট ইডির পক্ষ থেকে জ্যাকলিনের নামে চার্জশিট পেশ করা হয়। জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জেনেবুঝেই সুকেশের সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন। দামি উপহার নিয়েছেন। বিনিময়ে দিয়েছেন সঙ্গ। তবে জ্যাকলিন এই অভিযোগ মানতে নারাজ।