শোবিজ অঙ্গনের স্টাইলিশ তারকা উরফি জাভেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্ভট পোশাকের কারণে বরাবরই আলোচনার শীর্ষে থাকেন তিনি। এবার নিজের বাবার বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করে খবরের শিরোনাম হলেন তিনি।
উরফির ছবি বিকৃত করে তা পর্নো সাইটে পোস্ট করা হয়েছিল। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি টিউব টপ পরা খুব সাধারণ একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইল পিকচার হিসেবে আপলোড করি, সেই ছবি কেউ ডাউনলোড করে পর্নো সাইটে পোস্ট করেন। আত্মীয়-স্বজন বিষয়টি জানার পর আমাকে দোষারোপ শুরু করেন। আমাকে ‘পর্নো স্টার’ বলা হয়েছিল। আমি অবাক হয়ে বললাম, তাই যদি হবে তাহলে ভিডিও কোথায়? এমনকি আমার বাবাও এ কথা বলেছিলেন। বাবা আত্মীয়দের বলেন, পর্নো সাইটের লোকজন ৫০ লাখ রুপি দাবি করছেন। আমি সেদিন কিছুই বুঝিনি, কিছু বলতেও পারিনি। কারণ, আমাকে মারধর করা হয়েছিল। কিন্তু কেন মার খাচ্ছি বুঝতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব তথ্য উল্লেখ করে উরফি বলেন, ‘আমি কিছু লোকজনের ‘শিকার’ হয়েছিলাম। আত্মীয়-স্বজনরা এমন করলে মানা যায়। কিন্তু নিজের বাবা এমন করলে মেনে নেওয়া সহজ না। দুই বছর অনেক শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য করেছি, লোকজন খারাপ শব্দে আমায় ডাকতো। যতক্ষণ অজ্ঞান না হই ততক্ষণ বাবা মারতেন। ওই সময়ে মনে হতো, আত্মহত্যা করি। পরে ১৭ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই।’
বাড়ি পালিয়ে ভাড়া বাড়িতে ওঠেন উরফি। তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর লখনৌতে একটা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতাম আমি এবং আমার বোনেরা। টিউশন পড়িয়ে ভাড়া দিয়েছি। এরপর সেখান থেকে দিল্লিতে এক বন্ধুর ফ্ল্যাটে চলে যাই। সেখানে গিয়ে কল সেন্টারে চাকরি করতাম। তারপর সেখান থেকে মুম্বাইয়ে গিয়ে পেয়িং গেস্ট থাকতাম। বিভিন্ন অডিশন দিতে শুরু করি, ফ্যাশনের প্রতি সবসময়ই আমার আগ্রহ ছিল।’
প্রসঙ্গত, ‘বড়ে ভাইয়া কি দুলহানিয়া’ টিভি ধারাবাহিকে অবনি চরিত্রে অভিনয় করে বিশেষ খ্যাতি পেয়েছেন উরফি জাভেদ। পাশাপাশি ‘মেরি দুর্গা’, ‘বেপানাহ’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘পাঞ্চ বিট’ ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে দেখা গেছে তাকে।