নাসিম রুমি: আজও তিনি পর্দায় এলে উচ্ছ্বসিত হন দর্শক। টলিউড হোক কিংবা বলিউড! দীর্ঘ অভিনয় জীবনে ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তবে শুধু বাংলা কিংবা হিন্দি নয়, বহু ভাষার একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। একাধিক হিট সিনেমা সিনেপ্রেমীদের উপহার দিয়েছেন। এবার ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার পাচ্ছেন অভিনেতা।
আগামী ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এই সম্মানে ভূষিত হবেন মিঠুন। আর তা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ অক্টোবর। কেরিয়ারে মোট ৩ টি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। এবার প্রাপ্তি সর্বোচ্চ সম্মানের। এই ঘোষণার পরেই শুভেচ্ছার বন্যা টলিউড থেকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে।
কিন্তু এই খুশির দিনে কেন মন খারাপের সুর মিঠুনের গলায়? আসলে মুম্বই সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে স্মৃতির পাতায় ডুব দিতে দেখা যায় বর্ষীয়ান অভিনেতাকে। প্রথম জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর একটি অপমানের কথা মনে করে তিনি বলেন, “প্রথম জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর মনের জোর বেড়ে গিয়েছিল। নিজেকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা মনে করছিলাম। মনের ভাব স্বভাবেও বেশকিছু পরিবর্তন এনেছিল সেই সময়।”
তিনি আরও বলেন, “এরপর একজন প্রযোজকের সঙ্গে আগামী ছবি নিয়ে কথাবার্তা বলতে যাই। তখন আমার এই ভাবভঙ্গি দেখে ওই প্রযোজক গলার স্বর চড়িয়ে আমায় বেরিয়ে যেতে বলেন। এই ঘটনায় বুঝতে পারি, কোনওকিছু স্থায়ী নয়।
বিধাতা আজ আমাকে কোথায় নিয়ে এসেছে তা সবার জানা। আমি যখন তারকা হয়ে যাই, তখন সেই প্রয়োজক আমার কাছে ছবির প্রস্তাব নিয়ে আসে। কিন্ত তাকে আমি ফিরিয়ে দেইনি। বিনয়ের সাথে তার ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হই।