English

28 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫
- Advertisement -

ছ্যাঁকা খাওয়া চরিত্রটাই আমার: বাপ্পারাজ

- Advertisements -

নাসিম রুমি: ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা বাপ্পারাজ। ক্যারিয়ারে অসংখ্য রোমান্টিক সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে দর্শকের কাছে অভিনেতা বাপ্পারাজ মানেই ব্যর্থ প্রেম বা ট্র্যাজেডির গল্প! অর্থাৎ ত্রিভুজ প্রেম বা স্যাক্রিফাইসের গল্পনির্ভর সিনেমাগুলোর কারণে আজও এই নায়ক বেশ জনপ্রিয়!

প্রথম সিনেমার পরিচালক ছিলেন তার বাবা নায়করাজ রাজ্জাক। প্রথম সিনেমাতেই বাপ্পা প্রশংসা কুড়ান। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সিনেমার একটি সংলাপ ভাইরাল হয়।

এদিকে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সমসাময়িক ব্যস্ততা ও ইন্ডাস্ট্রির নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন এ অভিনেতা। প্রায় সময়ই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসা প্রসঙ্গেও নিজের মতামত জানান তিনি। তার মতে, তিনি নিজের জায়গায় সবসময় নম্বর ওয়ান।

বাপ্পারাজকে নিয়ে প্রায়ই ট্রল হয়, অনেকে বলে ছ্যাঁকা খাওয়া নায়কের শুভেচ্ছাদূত তিনি। এটা নিয়ে কোনো দুঃখবোধ কাজ করে কি না জানতে চাইলে বাপ্পারাজ বলেন, একদমই না। আমি মনে করি, আমার জায়গায় আমি এক নম্বর। আমার অভিনীত চরিত্র সবার মনে জায়গা করেছে বলেই এমনটা হয়েছে, তাই এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখি।

নিঃসন্দেহে এটা আমার সফলতা। আমাকে যখনই পরিচালকরা গল্প শোনাতেন, চরিত্র নিয়ে কথা বলতেন, তখন আমি বেছেই নিতাম ছ্যাঁকা খাওয়া চরিত্র। আমি নিজেও বুঝতাম, ছ্যাঁকা খাওয়া চরিত্রটাই আমার জন্য। অভিনয়ে অনিয়মিত থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন তো আমার সেই সময় নেই, হিরোইনের পেছনে ছুটে ছুটে গান করব। সত্যি কথা বলতে, আমাদের এখানে তো ওই রকম চিত্রনাট্যই হয় না। আমরা যারা, এই যেমন আমি, আমিন খান, নাঈম আমাদের নিয়ে গল্প ভাবা হয় না।

যা-ও কেউ আমাদের কথা ভাবেন, চিত্রনাট্য করতে গেলে, বলবে, বাবার চরিত্র করো বা করেন। বাবার চরিত্র যে করব, আমাদের তো বাবার মতোও অবস্থা হয়নি। আমাদের নিয়ে চরিত্র লেখা না হলে কীভাবে কী করব। মুম্বাইয়ের দিকে তাকালে দেখি, এই বয়সেও অমিতাভ বচ্চনসহ অন্যদের নিয়ে যেভাবে চরিত্র তৈরি হয়, তা সত্যিই অন্য রকম। বয়স্ক যারা, এখনো তাদের পর্দায় যেভাবে উপস্থাপন করে, তা ঠিকঠাকভাবেই করে। আমাদের এখানে গল্প এখনো একই প্যাটার্নের। হয়তো বাবার চরিত্র দরকার হলো, বলল, বাপ্পা ভাই করবেন? আমি বললাম, না, আমি করব না। এরপর দেখা গেল নাঈমের কাছে গেল, সেও করবেন না। এরপর আমিন খানের কাছে গেল, সে-ও করল না। এরপর এমন একজনকে নিল, যা হয়তো নিতে হবে বলেই নেওয়া। তাই বলব, আমাদের এখানে কাউকে ভেবে চরিত্র তৈরি হচ্ছে না।

ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান বেহাল দশায় পরিচালক-প্রযোজকদের ভূমিকা ও মূল সমস্যা প্রসঙ্গে এ অভিনেতা বলেন, প্রযোজকরা সাধারণত কী চায়, আমার ছবিটা হিট হোক। লগ্নি ফেরত আসুক। লাভ করুক। বাবা, ভাই, বোন, মা কাকে নেবেন এটা নিয়ে মোটেও তিনি ভাবেন বলে মনে হয় না। খুব বেশি কিছু হলে প্রযোজক নায়ক-নায়িকা পর্যন্ত কে হতে পারেন, তা নিয়ে নাক গলায়। এরপরও বুঝলাম পরিচালক বোঝাল, গল্প খুব ফাটাফাটি। তারপরও প্রযোজক চিন্তা করবে, ফাটাফাটি হলেও যদি গল্প দর্শক পছন্দ না করে, তাহলে তো আমি শেষ। প্রযোজক চান তার বিনিয়োগের নিরাপত্তা। আমাদের পরিচালনার প্যাটার্ন বদলাতে হবে। না বদলাতে পারাটা অবশ্যই তাদের দীনতা। তবে নতুন যে কয়জন পরিচালক কাজ করছেন, তাদের কারণে প্যাটার্ন আস্তে আস্তে বদলাতে শুরু করেছে। আছেন। এখন যে দুনিয়া কোথায় চলে গেছে, তা তারা জানতে বা বুঝতে চান না। অনেক কিছু বদলে গেছে। এখন আর গোঁ ধরে বসে থাকলে হবে না।

প্রসঙ্গত, বাপ্পারাজ অভিনীত ত্রিভুজ প্রেমের ‘প্রেমের সমাধি’, ‘প্রেমগীত’, ‘হারানো প্রেম’, ‘ভুলো না আমায়’, ‘বুক ভরা ভালোবাসা’, ‘ভালোবাসা কারে কয়’ এমন বেশ কিছু সিনেমা তাকে দিয়েছে অনন্য জনপ্রিয়তা।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন