নাসিম রুমি: ছোট পর্দার অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম।
তিনি বলেন, ‘আমরা খবরটা শুনেছি। দুপুরের পরে তাকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।নেওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে মারা গেছেন, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
তবে তিনি জানান, তাঁকে যে ব্যক্তি হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন তিনি পালিয়ে গেছেন। তাঁকে খোঁজা হচ্ছে।
এদিকে উর্মিলা কর জানান, তিনি অল্প সময়ের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছবেন। তিনি জানান, ঘণ্টা খানেক আগে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। উত্তরার একটি বাসায় একাই থাকতেন এই অভিনেত্রী। বেশ কয়েক বছর ধরে ছোট পর্দায় অভিনয় করতেন হিমু। বিটিভিসহ বিভিন্ন প্যাকেজ নাটকে দেখা যেত তাঁকে। তিনি অভিনয়শিল্পী সংঘেরও সদস্য ছিলেন।
তার প্রথম ছবি ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ চলচ্চিত্রের গল্পটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং চলচ্চিত্রে তার অসাধারণ অভিনয় সমালোচকদের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিলেন। তিনি অনেকগুলি টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন, যেমন: ডিবি, সোনাঘাট, চেয়ারম্যান বাড়ি, বাটিঘর, শোনেনা সে শোনেনা ইত্যাদি।
২০০৫ সালে তিনি টেলিভিশন মিডিয়াতে এবং নাটকে যুক্ত হন মো: জামালউদ্দিনের নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনস্যাম্বলে। ২০০৬-এ হুমাইরা হিমুর প্রথম নাটক ‘ছায়াবীথি’ প্রচারিত হয়। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামের একটি সিরিয়াল নাটকেও অভিনয় করেন। এরপরে তিনি ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ সহ অনেক জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করতে থাকেন। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি।
হুমাইরা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। হিমু ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন এবং এ কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। ফ্রেঞ্চ নামক নাট্য দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন। তার মামা মূর্শেদ নাটকটিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।