বিভিন্ন সেক্টরের বীর মুক্তিযুদ্ধাদের অংশগ্রহণে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে উদযাপিত হলো বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী ‘বিজয়ের ৫০’।
১৫তম এ বিজয় মেলার প্রধান পৃষ্ঠাপোষক ছিল ঐক্য.কম.বিডি। ওইদিন সকাল ১১.০৫ মিনিটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০টি পায়রা এবং ৫০টি লাল-সবুজ বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্ধোধন পর্বে অংশ নেন বিভিন্ন সেক্টরের বীর মুক্তিযুদ্ধোরা, ইমপ্রেস গ্রপের চেয়ারম্যান আবদুর রশীদ মজুমদার, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি., চ্যানেল আই পরিচালনা পর্ষদ সদস্য জহিরউদ্দিন মাহমুদ বাবু এবং চ্যানেল আই-এর পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ প্রমুখ। মেলায় দেশের গান করেছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রর শিল্পীরা।
স্মৃতিচারণ করেছেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা ও অনুষ্ঠানে আগত মুক্তিযোদ্ধা এবং বিশিষ্টজনরা। শিল্পী মনিরুল ইসলামের নেতেৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চিত্রাংকন করেছেন একদল শিল্পী এবং ছোট পরিসরে বিভিন্ন পন্যসামগ্রী ও মুক্তিযুদ্ধের দলিল সম্বলিত স্টলও ছিল মেলায়।
বীর শহীদদের স্মরণে এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, ‘৫০ বছরের অর্জন ও আনন্দের বিজয় দেখে যেতে পারবো ভাবিনি। আমাদের কাছে অভাবনীয় সাফল্যের দিন আজ। এদিনে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানাতে পারবো চিন্তার বাইরে ছিল। জীবন বাজি রেখে যেসব মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তাদের সালাম ও শ্রদ্ধা জানাই। এই শ্রদ্ধাঞ্জলি শুধু এখানকার ৫০ জন যোদ্ধাদের নয়, সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের।
তারা এগিয়ে না এলে আমরা এদেশ পেতাম না। তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রত্যেকের কমবেশি ক্ষমতা রয়েছে। এর সঙ্গে একটু মমতা মিশিয়ে প্রত্যেকে হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে এলেই বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেতে পারবে। তাহলেই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও আমাদের বাংলাদেশ ভালো থাকবে।’
অনুষ্ঠানে আগত মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয় পরিয়ে তাদের হাতে সম্মাননাসূচক ক্রেস্ট তুলে দেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম, চ্যানেল আই পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা।
বীর শহীদদের স্মরণ করে শাইখ সিরাজ বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। পরবর্তী ৫০ বছওে দেশ যেখানে যাবে সেই স্বপ্ন আমরা এখনই দেখা শুরু করেছি। আমাদের সবার প্রচেষ্টা ও কল্যাণে দেশ যেভাবে অগ্রগামী হচ্ছে আগামীতে আরও এগুবে। সেদিন আমরা হয়তো থাকবো না, থাকবে নতুন প্রজন্ম।’
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানোর পর মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ। ডিসেম্বর মানেই গৌরব অহংকার উল্লেখ করে জহিরউদ্দিন মাহমুদ মামুন বলেন, ‘আমরা যারা স্বাধীনতা ও বিজয় দেখেছি তাদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের মাস ডিসেম্বর। ৫০ বছর ধরে স্বাধীন দেশের আলো বাতাস উপভোগ করছি এটা আমাদের অনেক বড় সৌভাগ্য।
আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই দেশ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাধুমে উন্নত দেশের সম্মুখসারীতে যাবে এই প্রত্যাশা রাখি।’
মেলায় কবিতা আবৃত্তি করেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, লায়লা হাসানসহ অনেকে। এছাড়া সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ, ক্ষুদে গানরাজ এবং বাংলার গানের শিল্পীরা। নৃত্য পরিভেমন করেছেন চ্যানেল আই সেরা নাচিয়েরা।