আজাদ আবুল কাশেম: চিত্রনায়িকা রওশন আরা’র ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০১০ সালের ২৪ জুন, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। গুণি এই অভিনেত্রীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
রওশন আরা ১৯৪০ সালের ৩ আগস্ট, পাবনা শহরে, জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মৌলভী বজলুর রহমান এবং মাতার নাম মোসামৎ দুরুদুরনিসা খাতুন। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। পাবনা গার্লস স্কুল থেকে ১৯৫৪ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন রওশন আরা। এ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৫৬ সালে, উচ্চমাধ্যমিক পাস করে, ঢাকার মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজে (বর্তমান স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) ভর্তি হন এবং এমবিবিএস পাস করেন।
খ্যাতিমান চিত্রপরিচালক মহিউদ্দিনের ‘মাটির পাহাড়’ (১৯৫৯) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে, চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন, রওশন আরা। তাঁর অভিনীত অন্যান্য ছবি- যে নদী মরুপথে, সূর্যস্নান, নতুন সুর, ইয়েভি এক কাহানী, সোহানা সফর (মুক্তি পায়নি), নদী ও নারী, মেঘের অনেক রং, আমির ফকির, দরদীশত্রু, প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
রওশন আরা বিজ্ঞাপন চিত্রেও কাজ করেছেন। তিনি অভিনয় করেছেন টেলিভিশন নাটকেও।
ডাঃ রওশন আরা ব্যক্তিজীবনে, চিকিৎসক জহুরুল কামাল-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই চিকিৎসক দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। তাদের একমাত্র দত্তক কন্যা ঋতি, বর্তমানে কানাডায় বসবাস করছেন।
শান্ত স্নিগ্ধ মুখাবয়ব, মায়াময়ী এক সুন্দর চেহারার অধিকারী ছিলেন, নায়িকা রওশন আরা । মনমুগ্ধকর এক আবেশ ছড়িয়ে থাকতো তাঁর আঁখিপল্লবে। পরিমার্জিত অভিনয় দক্ষতায় দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন অনায়াসে। তখনকার সময়ে একজন ডাক্তার হয়েও, অভিনয়কে ভালবেসে চলচ্চিত্রে এসেছেন এবং চলচ্চিত্রশিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে রেখেছেন অনন্য ভূমিকা।