নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক যুগ্ম মহাসচিব চিত্রনায়ক আবদুস সাত্তার আজ সন্ধ্যা ৭টায় ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে চিৎিসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। অনেকদিন থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। উচ্চচাপ, ফুসফুসে ইনফেকশন ও ডায়াবেটিকসসহ নানা রোগে তিনি ভুগছিলেন। একটা সময় তিনি চলাফেরা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। এই সহযোদ্ধার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেছেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন এবং নিসচার চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, চিত্রনায়ক আবদুস সাত্তার চলচ্চিত্র জগৎ-এ যেমন আমার সহযোদ্ধা ছিলেন তেমনিভাবে আমার সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে তার ভুমিকা অপরিহার্য। তিনি মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং দেশবাসী সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।
উল্লেখ্য নায়ক সাত্তার ২০১২ সালে স্ট্রোক করে প্যারালাইসড হয়ে অভিনয় থেকে দূরে সরে যান। গ্রামবাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেতা ১৯৫৮ সালের ২৬শে মে নারায়ণগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১২ সালে অসুস্থ হওয়ার আগে সাত্তার প্রায় ১২০টি ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। আশির দশকে তার সঙ্গে রোজিনা-অঞ্জু ঘোষ ছিল জনপ্রিয় জুটি। ১৯৮৪ সালে এফডিসি’র নতুন মুখের সন্ধানে মান্না, সোহেল চৌধুরী, দিতিদের সঙ্গে সাত্তারও উঠে আসেন। আব্দুস সাত্তার রূপালি ভুবনে আত্মপ্রকাশ করেন ইবনে মিজানের ‘আমির সওদাগর ভেলুয়া সুন্দরী’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। এরপর তিনি ধারাবাহিকভাবে পোশাকি ছবির অপরিহার্য নায়ক হয়ে ওঠেন। তার অভিনীত ছবিগুলোর মধ্য দিয়ে এদেশে পূর্ণাঙ্গ রঙিন সিনেমার যুগ শুরু হয়। সাত্তারের জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে ‘রঙিন রূপবান’, ‘রঙিন রাখাল বন্ধু’, ‘রঙিন কাঞ্চনমালা’, ‘রঙিন রাম লক্ষণ’, ‘অরুণ বরুণ কিরণ মালা’, ‘মধুমালা মদন কুমার’, ‘আলোমতি প্রেম কুমার’, ‘শুভদা’ অন্যতম। সর্বশেষ সাত্তারকে রুপালি পর্দায় ২০১২ সালে পিএ কাজলের ‘চাচ্চু আমার চাচ্চু’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন