শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠছে। এবার এই নায়কের বিরুদ্ধে জমি ও স্থাপনা দখলের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা। তাদের দাবি, ‘অন্তরজ্বালা’ সিনেমার শুটিংয়ের কথা বলে নিজ জেলা পিরোজপুরে জমি ও ক্লিনিক দখল করেছেন জায়েদ খান।
মানববন্ধনের ব্যানারে চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে ভূমিদস্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি জমি দখলে তার দুই ভাই ওবায়দুল হক পিন্টু ও শহীদুল হক মিন্টু জড়িত বলে দাবি করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এক অভিযোগকারী জানায়, ২০১৬ সালের ২১ মার্চ রাত ২টার সময় ৫ তলা ভবনের পঞ্চম তলায় কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে গীতা রানী ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালান জায়েদ খান। এ সময় তারা জোর করে টাকা-পয়সা ও ক্লিনিকের অ্যাম্বুলেন্স লুট করে নিয়ে যান। এমনকি গীতা রানীর স্বামীকে পিটিয়ে ঝিনাইদহ জেলার রেললাইনের ওপর ফেলে রেখে যান।
এ বিষয়ে ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ একটি এজাহার করেছিলেন গীতা রানী। এরপর থেকেই জায়েদ খান তার ৫ তলা বাড়ির বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। বর্তমানে তারা ওই বাড়িতে থাকতে পারছেন না।
ওই অভিযোগকারী আরও জানান, বর্তমানে তারা ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ বিষয়ে গত ৬ জুন ২০১৮ সালে করা একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা নম্বর ০৯, ১৮৫/১৮। ভুক্তভোগী পরিবার ভূমিদস্যু জায়েদ খান ও তার গংয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট কেনা, নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে এখনও জটিলতা কাটেনি। এমনকি নির্বাচনের আগে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী শিমু হত্যার অভিযোগ ওঠে। যদিও রাত না পোহাতেই সেটি মিথ্যা প্রমাণ হয়।