২০১৯-২১ সালের অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া নির্বাচন, তদন্ত কমিটি দ্বারা অবৈধ প্রমাণিত হওয়ায় ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির কমিটি। তাছাড়া প্রযোজক ও চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই তার কাজে কোনো বাধা নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত পৃথক দুটি আদেশে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, প্রযোজক সমিতির সদ্য সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরুসহ চারজন প্রযোজক নেতা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিধি বহির্ভূতভাবে তথ্য গোপন করে গত বছরের ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নেন। প্রযোজক সমিতির সদস্য ও অভিনেতা জায়েদ খান বিষয়টি লিখিতভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানান।
মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে। এই কমিটি তদন্তে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ চারজন হাইকোর্টের রিট থাকা সত্ত্বেও গোপনভাবে নির্বাচনে অংশ নেন। এজন্য প্রযোজক ও পরিবেশ সমিতির কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
একইসাথে ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খন্দকার নূরুল হককে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগে দেওয়া হয়েছে।
আরেকটি আদেশে বলা হয়েছে, চিত্রনায়ক ও জেডকে মুভিজের কর্ণধার জায়েদ খানের পদ অবৈধভাবে স্থগিত করে রেখেছিল বলে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। জায়েদ খানকে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালানো ও তার অভিনয়ে যেন বাধা না দেওয়া হয়, এমন নির্দেশনাও রয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী ১২০ দিনের মধ্যে প্রযোজক সমিতির নির্বাচন নতুন করে অনুষ্ঠিত হতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন