English

27 C
Dhaka
বুধবার, এপ্রিল ২, ২০২৫
- Advertisement -

চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা আনন্দর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

- Advertisements -

একে আজাদ: আনন্দ। চিত্রনায়ক। নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিত সবকটি চলচ্চিত্রেই তিনি নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন। তাঁর নির্মিত চারটি চলচ্চিত্রের মধ্যে দু’টিই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দু’টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন যিনি, তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা আনন্দ। আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ১৯৯৪ সালের ৯ মে, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। প্রয়াত এই নির্মাতা-অভিনেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

টাইঙ্গাইলে জন্ম নেয়া আনন্দ চলচ্চিত্রে আসেন নায়ক-প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে। তাঁর অভিনীত-প্রযোজিত ও পরিচালিত চলচ্চিত্র- ‘শেষ রাতের তারা’ (১৯৭০), ‘বাঘা বাঙ্গালী’ (১৯৭২), ‘কার হাসি কে হাসে’ (১৯৭৪), মরা মানুষের খেলা (১৯৮৮) প্রভৃতি।

অভিনেতা-নির্মাতা আনন্দ, মাত্র কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা-পরিচালনা করেছেন। নিজের নির্মিত সবকটি ছবিতেই তিনি নায়ক হিসেবে অভিনয়ও করেছেন। এর আগেও কয়েকটি চলচ্চিত্রে তিনি ছোটখাট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তাঁর নির্মিত চারটি চলচ্চিত্রের মধ্যে দু’টিই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। তিনি কি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন! নাকি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে চলচ্চিত্রের কাহিনী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধকে বেছে নিয়েছেন। এ বিষয়ে কোন তথ্য আমাদের জানা নেই, আসলে নায়ক-পরিচালক আনন্দ সম্পর্কে তেমন কিছুই আমরা জানি না।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দু’টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন যিনি, তাঁর সম্পর্কে জানার আমাদের কোনোই আগ্রহ নেই বা ছিল না। এই অভিনেতা-নির্মাতা পরবর্তিতে কোথায় গেলো, চলচ্চিত্র থেকে দূরেই কেনো রইলো? চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের কেউই তাঁর খবর রাখল না বা জানল না!

আমাদের দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দু’টি চলচ্চিত্রের নির্মাতা সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্ম কিছুই জানতে পারল না, আগামী প্রজন্মও কিছুই জানতে পারবে না।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের এই মহান কারিগর, অনন্তলোকে চিরশান্তিতে থাকুন এই প্রার্থণা করি।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন