চলচ্চিত্র পরিচালক পি এ কাজল-এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০১৭ সালের ২৪ মে (২৪ মে রাত ১২টা ২০ মিনিটে), ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়, মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৩ বছর। অকাল প্রয়াত এই চিত্রপরিচালকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।
পি এ কাজল (পূর্ণেন্দু আচার্য্য কাজল) ১৯৬৪ সালের ১ জানুয়ারী, নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার সুলতানসাদী গ্রামে, জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ পাস করেছেন।
পি এ কাজল চলচ্চিত্রাঙ্গনে আসেন, চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলামের সহকারী হিসেবে। এরপর তিনি আরো অনেকের সাথেই কাজ করেছেন সহকারী পরিচালক হিসেবে।
পি এ কাজল ১৯৯১ সালে ‘গোধূলী’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। প্রথম কাজের জন্যই তিনি, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরীতে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ অর্জন করেন।
১৯৯৮ সালে মুক্তিপায় পি এ কাজল পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সাব্বাশ বাঙালী’ । এরপর তিনি একের পর এক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে গেছেন। তাঁর অন্যান্য ছবিগুলো হলো- কাটা রাইফেল, ভণ্ডওঝা, বড় মালিক, তেজি পুরুষ, বাঁচাও দেশ, একরোখা, জোড়া খুন, আমি একাই একশো, আমার প্রাণের স্বামী, ক্ষমতার গরম, মেয়ে অপহরণ, যমদূত, বড়লোকের জামাই, এক টাকার বউ, স্বামী স্ত্রীর ওয়াদা, পীরিতির আগুন জ্বলে দ্বিগুন, চাচ্চু আমার চাচ্চু, অন্তরে আছ তুমি, গরিবের ভাই, এক টাকার দেনমোহর, ভালোবাসা আজকাল, লাট্টু কসাই, মুক্তি, চোখের দেখা প্রভৃতি ।
পি এ কাজল ব্যক্তিজীবনে, সুচিত্রা আচার্য’র সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের সফল নির্মাতা পি এ কাজল অনন্তলোকে চিরশান্তিতে থাকুন এই কামনা করি।