এ কে আজাদ: চলচ্চিত্রের মারপিট পরিচালক ও অভিনেতা মঞ্জুর রাহী’র ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৯২ সালের ৫ জানুয়ারি, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৮ বছর । প্রয়াত এই অভিনেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই । তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
মঞ্জুর রাহী ১৯৫৪ সালের ১৭ অাগস্ট, পাকিস্তানের করাচীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি নোয়াখালী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলায় । ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর, পাকিস্তানের চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় শুরু করেন। তাঁর ছোট ভাই টুলু রাহীও একজন অভিনেতা ছিলেন।
১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত, হাসমত পরিচালিত ‘নকল মানুষ’ ছবিতে মারপিট পরিচালক ও খলঅভিনেতা হিসেবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়, মঞ্জুর রাহী’র।
তিনি আরো যেসব ছবিতে মারপিট পরিচালনা/অভিনয় করেছেন তারমধ্যে- ‘হাসি কান্না’, ‘জানোয়ার’,
‘নয়ন মনি’, ‘দস্যু বনহুর’, শাপমুক্তি’, ‘জীবন মরণ’, ‘কুয়াশা’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’, ‘স্মাগলার’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘অঙ্গার’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘আসামী’, ‘আসামী হাজির’, ‘অশিক্ষিত’, ‘ফকির মজনু শাহ’, পাগলা রাজা’, ‘অংগার’, ‘মাটির ঘর’, ‘ঈমান’, ‘মাটির মানুষ’, ‘ইশারা’, ‘বেদ্বীন’, ‘যাদুনগর’, ‘দোস্তী’, ‘রাজার রাজা’, ‘পরদেশী’, ‘যদি জানতেম’, ‘কুদরত’, ‘বন্দুক’, ‘আখেরী নিশান’, ‘শাহজাদী গুলবাহার’, ‘দিলদার আলী’, ‘মাসুম’, ‘নসীব’, ‘বিদ্রোহী’, ‘লালমেম সাহেব’, ‘জিপসী সর্দার’, ‘ইজ্জত’, ‘নিশানা’, ‘রাজবাড়ী’, ‘তওবা’, ‘রাজবধূ’, ‘ভাই বন্ধু’, ‘দুই প্রেমিক’, ‘রঙিন রাখাল বন্ধু’, ‘আওয়াজ’, ‘তওবা’, ‘মশাল’, ‘সুপারস্টার’, ‘নীতিবান’, ‘জীবন বাজি’, ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’, ‘স্বাধীন’, ‘উসিলা’, রসিয়া বন্ধু ‘বিদায়’, ‘ভেজা চোখ’, ‘কিসমত’, ‘মরণ লড়াই’, ‘রাজার মেয়ে বেদেনী’, ‘আসমান জমিন’, ‘ডিসকো বাইদানী’ ‘মিষ্টার মওলা’ উল্লেখযোগ্য ।
মঞ্জুর রাহী ছিলেন একজন দুর্দান্ত প্রতিভাবান খলঅভিনেতা। তিনি বক্সার হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন। অতিঅল্প বয়সে এই তরুণ সম্ভাবনাময় একজন গুণী অভিনেতা আমাদের মাঝখান থেকে হারিয়ে গেছেন ।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের স্মৃতিতে আজও অম্লান অভিনেতা মঞ্জুর রাহী।