এ কে আজাদ: জাভেদ রহিম। অভিনেতা। একজন অসামান্য অভিনয় প্রতিভার অধিকারী ছিলেন জাভেদ রহিম। একজন তুখোড় অভিনেতা হিসেবে সুপরিচিতি ছিল তাঁর। বেশিরভাগ চলচ্চিত্রেই তিনি খলচরিত্রে অভিনয় করেছেন। আমাদের চলচ্চিত্রের একজন প্রতিভাবান গুণী অভিনেতা ছিলেন জাভেদ রহিম। আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী । তিনি ১৯৭৬ সালের ২৩ মার্চ, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। প্রয়াত এই গুণী অভিনয়শিল্পীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
ভারতের বর্ধমানে জন্ম নেয়া জাভেদ রহিম, পড়া-লেখা করেছেন কলকাতায় । এক সময় ঢাকায় চলে আসেন। চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান-এর ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি, সেই সূত্র ধরেই জহির রায়হান-এর চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তাঁর আগমন ঘটে।
তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে- সংগম, কাজল, বাহানা, ক্যায়সে কাহুঁ, বেহুলা, কার বউ, আগুন নিয়ে খেলা, জুলেখা, আনোয়ারা, ময়না মতি, দুই ভাই, নতুন নামে ডাকো, আলোর পিপাসা, শ্রীমতী ৪২০, আগন্তুক, বেলা শেষের গান, অধিকার, আপন পর, মধুমিলন, স্মৃতিটুকু থাক, মধুমতী, মানুষের মন, অবুঝ মন, ওরা ১১ জন, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, টাকার খেলা, অবাক পৃথিবী, মাসুদ রানা, আঁধারে আলো, অন্তরালে, নকল মানুষ, বাদশা, দুই রাজকুমার, বাদী থেকে বেগম, এক মুঠো ভাত, মণিহার, জয়পরাজয়, অনুভব, সোহাগ, প্রভৃতি।
অভিনয়ে অসামান্য প্রতিভার অধিকারী ছিলেন জাভেদ রহিম। তুখোড় অভিনেতা হিসেবে তখনকার সময়ে তাঁর বেশ খ্যাতি ছিল। ব্যতিক্রধর্মী যে কোন ছবিতে, যে কোন চরিত্রই তিনি বিশ্বাসযোগ্যভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন। চরিত্রের সঙ্গে মিশে যাওয়ার অসাধারণ দক্ষতা ছিল তাঁর।
বেশিরভাগ ছবিতেই তিনি খলচরিত্রে বাস্তবধর্মী অভিনয় করে গেছেন। বর্তমান প্রজন্ম হয়তো ধারণাই করতে পারবে না যে, কত উচুমাপের অভিনেতা ছিলেন জাভেদ রহিম।
বাংলাদেশের তৎকালীন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টদের অতি প্রিয় ‘মিনু মামা’ হিসেবে খ্যাত অভিনেতা জাভেদ রহিম, বড় অকালে-অসময়ে চলে গেছেন এই পৃথিবী থেকে। অনন্তলোকে তিনি ভালো থাকবেন, এই প্রার্থণা আমাদের।