টিভি অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। সম্প্রতি শুটিং সেটে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। গত ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে বিচার সভায় বসে অভিনয়শিল্পী সংঘ, ডিরেক্টরস গিল্ড ও টেলিপ্যাবের নেতৃবৃন্দ। এ সভায় চমকের সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চার দফা শাস্তি দেয় অভিনয়শিল্পী সংঘ।
সিদ্ধান্তের তথ্য লিখিতে বিবৃতিতে প্রকাশ করে অভিনয়শিল্পী সংঘ। কিন্তু এ বিচারে সন্তুষ্ট নয় ডিরেক্টরস গিল্ড। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগরের দাবি— আমরা এই সমাধান চাইনি। তা আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই দিনের সভায় জানিয়েছি। আমরা চমককে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছি। তবু কেন আমাদের কথা বিবৃতিতে বলা হলো তা জানি না।
শিল্পী সংঘের বিবৃতি প্রকাশ্যে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন অভিনেত্রী চমক। বুধবার (১৬ আগস্ট) রাত পৌনে চারটার দিকে ফেসবুকে তিনি লেখেন— ‘বাংলাদেশ একদমই একটি নারীবাদী দেশ। এখানে মেয়েরা সর্বস্থলে সবসময় নিরাপদে এবং নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারে, কোথাও কারো কাছে কিংবা কোনো পরাশক্তি বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথানত করতে হয় না। নিরাপদে নির্ভীক থাকুক প্রতিটি মেয়ে।’
ইতিবাচক এ স্ট্যাটাসকে নেটিজেনদের অনেকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মনে করছেন। যদিও এতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ নেই। এদিন আরেকটি স্ট্যাটাস দেন চমক। যাতে কবিতার ভাষায় এ অভিনেত্রী লেখেন, ‘দিন শেষে সব দোষ নন্দ ঘোষের। আনন্দবাবু তো তুলসী পাতা, তাও আবার ধোয়া, যায় না তাকে ছোঁয়া! নন্দ ঘোষের মুখে তালা, ভয়-ভীতিও আছে, পাছে সবাই করে ছি ছি তারে, কেটে দেয় তার ডালপালা যদিও একটু বারে। থাক, এবার না হয় বাঁচুক প্রাণ, কে নেবে, যদি রাখে ঈশ্বর মানীর মান। দুষ্ট লোক এবার দিলেও ফাঁকি, মনে রেখো, তার হিসাব রইলো শ’খানেক বাকি!’
সম্প্রতি রুকাইয়া জাহান চমকের বিরুদ্ধে শুটিং সেটে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। শুটিং সেটে পুলিশ ডেকেছিলেন তিনি। এ নিয়ে ডিরেক্টরস গিল্ডে লিখিত অভিযোগ করেন নির্মাতা আদিফ হাসান। তারপর অভিনয়শিল্পী সংঘে অভিযোগ করেন চমক। তারপর থানায় জিডি করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘ, ডিরেক্টরস গিল্ড ও টেলিপ্যাব যৌথভাবে বিচার সভায় বসে। সেখানে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমককে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, লিখিত অঙ্গীকার, জিডি প্রত্যাহার ও অর্থ জরিমানা করা হয়।