কুলবিন্দর কৌরের পিতামাতার বাড়ি সাতলুজ নদীর ধুসি বাঁধের কাছে। এখানকারই এক সাধারণ বাড়িতে তার বাবা-মা, দাদা-দাদি এবং তার ভাইয়ের পরিবার থাকে এবং তারা প্রত্যেকেই মধ্য-স্তরের কৃষক।
কুলবিন্দর কৌর ২০০৮ সালে সিআইএসএফ-এ যোগ দিয়েছিলেন এবং ২০১৫ সালে জম্মুতে বিয়ে করেছিলেন। কৌরের ভাই শের সিং কিষাণ মজদুর সংগ্রাম কমিটির একজন নেতা।
এ ঘটনায় শের তার মা বীর কৌর বলেন, ‘আমি খামার আন্দোলনের অংশ ছিলাম এবং খামার আন্দোলনের সময় দিল্লি সীমান্তে বসেছিলাম। কঙ্গনা মন্তব্য করেছিলেন বলে আমি কি এক পয়সাও পাবো? সেই ঘটনায় কঙ্গনাকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে।
কঙ্গনা তাকে (মেয়ে কুলবিন্দুরকে) প্রথমে কিছু বলে থাকতে পারে, অন্যথায় আমার মেয়ে খুব ভালো। আমি প্রথমে একটি ভিডিও থেকে মামলার ঘটনা জানতে পারি।’
অভিযুক্ত কুলবিন্দর কৌরের বাবা প্রায় এক বছর ধরে অসুস্থ এবং তাকে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি বলেও জানান তার মা বীর কৌর। তিনি জানান, কুলবিন্দরের বাবা ও তার দুই জেঠাও সেনাবাহিনীতে ছিলেন এবং ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের সময় কাজ করেছিলেন।’
এর আগে চড় মারা প্রসঙ্গে কুলবিন্দর জানিয়েছিলেন, দিল্লিজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করা কৃষক আন্দোলনে ১০০ টাকার বিনিময়ে অংশ নিয়েছিলেন নারী কৃষকরা।সে সময় এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা। সেই বিতর্কিত মন্তব্যের জবাবের প্রেক্ষিতে কৃষকদের অসম্মান রক্ষায় এই চড় দেওয়া হয়েছে। কুলবিন্দর বিস্তারিত জানিয়ে বলেন, ‘দিল্লিতে যখন কৃষকরা আন্দোলন করছিলেন, তখন কঙ্গনা বলেছিলেন ১০০-২০০ টাকা পেয়ে ওরা আন্দোলন করছে। আমার মা ওখানে ছিল, আন্দোলন করছিল।’
২০২০ সালে ভারতজুড়ে একজোট হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলেন কৃষকরা। এতে উত্তাল হয় দিল্লির পরিস্থিতি। সেই সময় ওই আন্দোলনে বসে থাকা এক বৃদ্ধার ছবি পোস্ট করে কঙ্গনা লেখেন, ‘১০০ টাকাতেই লভ্য’। বিপুল জনরোষের মুখে সেই পোস্ট মুছতে বাধ্য হন অভিনেত্রী। সেই পোষ্টের ক্ষোভেই কঙ্গনাকে চড় মেরে বসেন সেই কনস্টেবল। যা নিয়ে এখন বেশ সরগরম রয়েছে শোবিজ অঙ্গনও।