আশি-নব্বইয়ের দশকে বলিউডে রাজ করেছেন গোবিন্দ। ১৪-১৫ বছর টানা কাজ করার পরও ধীরে ধীরে বলি ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন এই অভিনেতা। এর জন্য নাকি অভিনেতা নিজেই দায়ী। অভিনেতার ‘অপেশাদার’ আচরণ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অনেক নির্মাতা-প্রযোজকরা। এমনকি অনেক তারকাও ক্ষুব্ধ অভিনেতার এমন আচরণে।
গোবিন্দের অপেশাদারি আচরণগুলো নিয়ে মুখ খুলেছেন অনেক নির্মাতা, প্রযোজক, তারকারা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গোবিন্দের ‘অপেশাদার’ আচরণ নিয়ে মুখ খুলেছেন বলি অভিনেতা তিনু বর্মা।
তিনি বলেন, শুটিংয়ে কখনও সঠিক সময়ে আসতেন না গোবিন্দ। প্রায় সময়ই তার জন্য অপেক্ষা করতে হতো সেটের সবাইকে। এ ছাড়া এক দিনে তিনটি ছবির শুটিং করবেন বলে কথা দিয়ে দিতেন তিনি।
তিনু বর্মা আরও বলেন, গোবিন্দ কখনও নিজের দেওয়া কথা রাখতে পারতেন না। তার শুটিংয়ে সঠিক সময়ে না আসার বিষয়টা বলিপাড়ার অনেক প্রযোজক ও পরিচালকদের নজরে পড়তে শুরু করে। আর এ কারণেই তার কাছে কাজের সুযোগও কম আসতে শুরু করে।
প্রযোজক বিজয় বলেন, শুটিংয়ে গোবিন্দের কথামতো হোটেলে একটি রুম বুক করেন। তিনি ভেবেছিলেন, শুটিংয়ের আগের দিন হোটেলে বিশ্রাম নিয়ে সেখান থেকেই শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন গোবিন্দ।
পরের দিন সকালে শুটিং সেটে সবাই রেডি হয়ে গোবিন্দের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও দেখা মেলেনি তার। বারবার ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি তাকে। পরে হোটেলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোবিন্দ আগের দিন হোটেলে যায়নি। এ কারণে ওই দিনের মতো শ্যুট বাতিল করতে বাধ্য হন প্রযোজক।
এর আগে গোবিন্দের অপেশাদারিত্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ডেভিড ধাওয়াণ-অনুরাগ বসুরাও। এমনকি গোবিন্দের চরিত্র নিয়েও অনেক বিতর্ক ছিল বলিপাড়ায়। গোবিন্দ নাকি যে সহঅভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করতেন, তার সঙ্গেই পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তেন।
তবে গোবিন্দ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বহু বছর কাজ করে কেউ সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে গেলে অনেকেই চান তাকে থামিয়ে দিতে। এক সময় যাদেরকে কাছের মানুষ মনে করেছিলাম, তারাই গুজব ছড়াচ্ছেন।