এ কে আজাদ: রুহুল আমিন। চলচ্চিত্র পরিচালক। পরিচালক রুহুল আমিন কমসংখ্যক চলচ্চিত্র নির্মাণ করলেও, গুণগতমান বিচারে তিনি ছাঁড়িয়ে গেছেন অনেক’কেই। তাঁর নির্মিত সবগুলো চলচ্চিত্রই, পেয়েছে সফলতা- হয়েছে প্রসংশিত।
গুণী চিত্রপরিচালক রুহুল আমিন-এর দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে এই গুণি নির্মাতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
রুহুল আমিন ১৯৪০ সালের ১৪ মার্চ, ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস গাজীপুর জেলার পুবাইলে।
প্রয়াত চলচ্চিত্রকার সুভাষ দত্তের ‘কাগজের নৌকা’ ছবি’র সহকারি পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়।
১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত, আনোয়ার হোসেন-রোজী ও উজ্জল-কবরীকে জুটি করে ‘নিজেরে হারায়ে খুঁজি, ছবিটি নির্মাণের মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে তাঁর অভিষেক ঘটে। ছবিটি সে সময় ব্যাপক প্রসংশিত ও ব্যবসা সফল হয়েছিলো।
এরপর ১৯৭৪ সালে রুহুল আমিন, নায়ক রাজ রাজ্জাকের প্রযোজনায় নির্মাণ করেছিলেন ‘বেঈমান` ছবিটি। এই ছবিতে রাজ্জাক-সুজাতা ও কবরী জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেন। এই ছবিটি দারুন ব্যবসা সফল হয়েছিলো। পেয়েছিল তমুল জনপ্রিয়তা। পরিচালক রুহুল আমিনও লাইমলাইটে চলে আসেন ‘বেঈমান` ছবির মাধ্যমে ।
১৯৭৬ সালে ‘রঙ বেরঙ’ নামে আরো একটি ছবি পরিচলনা করেন রুহুল আমিন। এই ছবিতে জুটি হিসেবে ছিল উজ্জল ও সুচরিতা। এই ছবিও ব্যবসা সফল হয়।
তারপর ১৯৮০ সালে বুলবুল আহমেদ ও অঞ্জনাকে জুটি করে ‘গাংচিল’ ছবিটি নির্মাণ করলেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য খলঅভিনেতা আহমেদ শরীফ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরুস্কার পেয়েছিলেন। পরিচালকও ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছেন।
‘টার্গেট’ নামে আরো একটি ছবি নির্মাণ করেন রুহুল আমিন। অঞ্জনা ও সোহেল চৌধুরীসহ অনেকেই ছিলেন এই ছবিতে।
একজন নম্র-ভদ্র খুবই ভালো মানুষ হিসেবে রুহুল আমিন সুপরিচিত ছিলেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টদের কাছে। অনন্তলোকে তিনি ভালো থাকবেন এই কামনা করি।