বাণিজ্যসফল সামাজিক ছবি’র গুণি নির্মাতা, আকবর কবীর পিন্টু’র চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। আজকের এই দিনে বিন্ম্র শ্রদ্ধায় তাঁকে স্মরণ করছি। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
আকবর কবীর পিন্টু ১৯৪৫ সালের ২২ মে, নোয়াখালি জেলার বেগমগঞ্জে জন্মগ্রহন করেন। আইন বিষয়ে লেখা-পড়া করলেও, শেষ পর্যন্ত তিনি চলে আসেন চলচ্চিত্রে।
১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত, ই আর খান পরিচালিত ‘চেনা-অচেনা’ ছবি’র সহকারী পরিচালক হিসেবে তাঁর চলচ্চিত্রে অাগমন।
১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রং বদলায়’ ছবি’র মাধ্যমে তিনি পুর্ণাঙ্গ পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপরে তিনি বেশকিছু ভালো মানের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। আকবর কবীর পিন্টু নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ, ‘রং বদলায়’, ‘পলাশের রং’, ‘উৎর্সগ’, ‘মামা ভাগ্নে’, ‘বাদশা’, ‘কথা দিলাম’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘কালো গোলাপ’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘আওয়াজ’, ‘বাগদত্তা’, ‘অগ্নি পরীক্ষা’, ‘লাওয়ারিশ’ প্রভৃতি।
চলচ্চিত্রের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন এই নির্মাতা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি’র মহাসচিব হিসেবেও (১৯৮৭-৮৮) দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি’র সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা-আজীবন সদস্যও ছিলেন আকবর কবীর পিন্টু।
এক সময়ে এসে তিনি চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে যান। শিক্ষকতায় মনোনিবেশ করেন নিজেকে। প্রতিষ্ঠা করেন ‘চিলড্রেন্স গার্ডেন’ স্কুল। আমৃত্যু শিক্ষকতায়ই নিয়োজিত ছিলেন এই শিক্ষানুরাগী, আকবর কবীর পিন্টু।
সামাজিক ছবি’র সফল নির্মাতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তিনি। জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্রের নির্মাতা হিসেবে খ্যাতিও ছিল তাঁর। রুচিসম্মত বাণিজ্যিকধারার, বিনোদনধর্মী ছবি নির্মাণে ছিলেন, অনন্য কারিগর। বাংলাদেশের সিনেমা দর্শকদের পছন্দের তালিকায় ছিল, পরিচালক আকবর কবীর পিন্টু’র নাম। সে নাম চলচ্চিত্রশিল্প থেকে মুছে যাবার নয়।