নাসিম রুমি: বলিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী শাবানা আজমি। ১৯৭৪ সালে ‘অঙ্কুর’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। অভিষেক চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেত্রী বিভাগে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপরের গল্প কারো অজানা নয়।
দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে বলিউডের অনেক তারকা অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন। স্ক্রিন শেয়ার করেছেন ভারতীয় বাংলা ও বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে। একসময় মিঠুন চক্রবর্তী গায়ের রং ও দাঁত নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগতেন। সম্প্রতি আরবাজ খানের চ্যাট শো ‘দ্য ইনভিজিবল সিরিজে’ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন শাবানা আজমি।
স্মৃতিচারণ করে শাবানা আজমি বলেন, ‘আমার মনে আছে, মিঠুন আমার বাড়িতে আসতেন। সবসময় মিঠুন তার গায়ের রং ও এবড়ো-খেবড়ো দাঁত নিয়ে চিন্তা করতেন। আমার মা মিঠুনকে জোর করে জড়িয়ে ধরে বলতেন যে, এসব বিষয় নিয়ে এত ভাবনা-চিন্তা করো না। তুমি তো দারুণ ড্যান্স করো।’
শুধু শাবানা আজমি নন, মিঠুন নিজেও একাধিক সাক্ষাৎকারে তার গায়ের রং নিয়ে কথা বলেছেন। মিঠুনের ভাষায়— ‘আমার গায়ের রং কালো হওয়ার কারণে হীনমন্যতায় ভুগতাম। তাই ভেবেছিলাম, আমি তো নিজের গায়ের রং বদলাতে পারব না। কিন্তু সিনেমায় ভিলেন চরিত্রে অভিনয় তো করতেই পারব। এরপর ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে ট্রেনিং নিয়ে ফিরে আসি। গায়ের রং নিয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলেও এটা জানতাম যে, আমি ভালো নাচতে পারি, মারামারির দৃশ্য ভালো করতে পারি। আমি এমন কিছু করতে চেয়েছিলাম যাতে দর্শক আমার গায়ের রং নয়, প্রতিভাকে চিনে। আমি ড্যান্সের নিজস্ব স্টাইল তৈরি করলাম।’
১৯৭৬ সালে ‘মৃগয়া’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন মিঠুন চক্রবর্তী। এ সিনেমা তাকে রাতারাতি তারকা খ্যাতি এনে দেয়। বাংলা ভাষার এ সিনেমায় অভিনয় করে সেরা অভিনেতা হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। একই বছরে বলিউডে পা রাখেন মিঠুন। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ধারাবাহিকভাবে উপহার দিতে থাকেন হিট সিনেমা। ভক্তদের কাছ ‘মহাগুরু’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।