ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি গাজীপুর বাসন থানার সামনে গাড়িতে বসা অবস্থায় গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে দাবি করেছেন, ‘ওরা আমাকে টর্চার করছে।’
এ সময় মাহিকে কালো বোরকাতে দেখা গেছে। বিমানবন্দর থেকে মাহিকে গাজীপুর বাসন থানায় নেওয়া হয়। গাড়ি থেকে থানায় না নামিয়ে কোর্টে নেওয়া হয় এই নায়িকাকে।
গ্রেপ্তার পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মাহি দেশের ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকী প্রক্রিয়া শেষে আমরা দ্রুতই তাঁর রিমান্ড চাইব। মাহির স্বামী রকিব সরকার এখনও পলাতক।
সাংবাদিকদের পক্ষে মাহি অন্তসত্বা জানানো হলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমরা এই বিষয়ে অবগত নই; সেটা কোর্ট দেখবেন।
মাহিয়া মাহিকে আজ শনিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। সকালে ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরছিলেন মাহি।
এর আগে গতকাল মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে গাজীপুরে দুটি মামলা হয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে। আর জমি দখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।
শুক্রবার ভোরে স্বামীর সঙ্গে ফেসবুক লাইভে রকিবের গাড়ির শো-রুম ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ করেছিলেন। যেখানে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন নায়িকা। আর লাইভে তিনি দাবি করেন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে তার স্বামীর গাড়ির শোরুমে ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন ও মামুন সরকারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে।