বলিউডে সোনাক্ষী সিনহার রাস্তাটা যথেষ্ট মসৃন ছিল। কারণ বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা ছিলেন এক সময়ের দাপুটে অভিনেতা। সেই তুলনায় ক্যাটরিনার বলিউড যাত্রাটা ছিল যথেষ্ট কঠিন। তবে সালমান খানের সুনজরে থাকায় সেই কঠিন রাস্তাটা সহজের দিকে মোড় নেয় একসময়।
পরবর্তীকালে ক্যাটরিনা সিদ্ধান্ত নেন তিনি স্বাধীনভাবে বলিউডে কাজ করবেন। অক্ষয়ের পর বলিউডের বহু নামকরা অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন ক্যাটরিনা। একের পর এক নামী ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছিলেন তিনি। কিছু বিখ্যাত ব্র্যান্ডের প্রচারের মুখ হয়ে উঠেছিলেন ক্যাটরিনা। বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী অভিনেত্রী হিসেবেও স্থান করে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বলিউডে একটি গুঞ্জন সবসময় ছিল যে সোনাক্ষী সিনহা বলিউডে পা রাখার পর এই দুই অভিনেত্রীর মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা শুরু হয়।২০১০ সালে সালমান খানের হাত ধরে ‘দাবাং’ সিনিমায় প্রথম অভিনয় করেন সোনাক্ষী। শুধু সালমানই নন, অক্ষয় কুমারের সঙ্গেও বড় পর্দায় জুটি বাঁধেন শত্রুঘ্ন কন্যা। ক্যাটরিনা যে বিজ্ঞাপনলোতে দীর্ঘকাল ধরে অভিনয় করে এসেছেন, তার অধিকাংশ চলে আসে সোনাক্ষীর কাছে। এটাও শোনা গেছে একসময় যে সালমনের সঙ্গে সোনাক্ষী কাজ করছিলেন বলে ক্যাটরিনার বদলে সকলে সোনাক্ষীকেই কাজের সুযোগ দিচ্ছিলেন।
সোনাক্ষীর মা এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন যে, এগুলো সবই গুজব। এছাড়া সোনাক্ষী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যাটরিনার উদ্দেশ্যে পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, এগুলো সবই মনগড়া কথা।
তবে ২০১২ সালে সোহেল খানের সাবেক স্ত্রী সীমা খান একটি স্পা উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের পার্টি আয়োজন করেছিলেন। খান পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্যাটরিনা। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সোনাক্ষীও। শোনা যায়, এই অনুষ্ঠানে দুই অভিনেত্রীর মধ্যে দীর্ঘক্ষণ উত্তপ্ত বাক্যালাপ হয়। বেশ ঝগড়াও দুজনের। এরপর নাকি দুজনের ভুল বোঝাবুঝি মিটেও যায়।
এক সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী সিনহা জানিয়েছিলেন, বলিউডের সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীদের মধ্যে ক্যাটরিনা অন্যতম। তাঁর সঙ্গে ক্যাটরিনার সম্পর্ক ভালো। ক্যাটরিনা এই ইন্ডাস্ট্রির অংশ বলে তিনি যথেষ্ট গর্ববোধও করেন। তাদের মধ্যে কোনোও প্রতিযোগিতা কিংবা বিবাদ নেই।