দক্ষিণী সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত ঐতিহাসিক সিনেমা ‘শকুন্তলম’। মহাকবি কালিদাসের রচনা ‘অভিজ্ঞানাশকুন্তলম’ অবলম্বনে নির্মিত এই সিনেমায় শকুন্তলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, এই সিনেমার শুটিং কতটা কষ্টদায়ক ছিল। খরগোশের কামড়, ফুলের সাজে অ্যালার্জি সহ্য ও ৩০ কেজির লেহেঙ্গা পড়ে নাচসহ অনেক কিছু করতে হয়েছে তাকে।
সামান্থা জানান, চরিত্রের জন্য তাকে বহু ফুলের গয়না পরতে হতো। বাহু থেকে গলা, হাতে সর্বত্র থাকত ফুলের গয়না, আর সেটা থেকেই অ্যালার্জি হয়ে গিয়েছিল তার।
অভিনেত্রী বলেন, ‘সারাদিন আমি কোনো অভিযোগ-অনুযোগ ছাড়াই শুট করতাম। তারপর সন্ধ্যার পর থেকে আমার গোটা হাতে ফুলের দাগ দেখা যেত। প্রায় টানা ৬ মাস এই দাগ ছিল। মনে হতো যেন হাতে ফুলের ট্যাটু করিয়েছি। তার উপরেই মেকআপ লাগিয়ে শুট করেছি। কেউ এটাকে সারাতে পারেনি। তারপর অবশ্য ধীরে ধীরে চলে যায় দাগটা।’
কেবল ফুল থেকে অ্যালার্জি নয়, অভিনেত্রীকে এই সময় রীতিমত খরগোশের কামড় খেতে হয়েছে। সিনেমার জন্য খরগোশের সঙ্গে শুট করতে হয়েছে তাকে। আর তখনই একটি খরগোশ তাকে কামড়ে দেয়। সেই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আপাতত দৃষ্টিতে দেখে যা মনে হয় ওরা অত মিষ্টি নয়।’
ফুল আর খরগোশের যন্ত্রনার শেষ নয়, ৩০ কেজির লেহেঙ্গা পরেও শুট করতে হয়েছিল তাকে। শকুন্তলার পোশাক নিয়ে সামান্থা বলেন, ‘নীতা লুল্লা ম্যাম শকুন্তলার জন্য কিছু সুন্দর সুন্দর পোশাক বানিয়েছিলেন। একটি গানে আমায় একটা দারুণ লেহেঙ্গা পরতে হয়। আমার নাচের কথা মাথায় রেখে উনি কিছু ভারী, কিছু হালকা লেহেঙ্গা বানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত আমি একটা ৩০ কেজির লেহেঙ্গা পড়ে নাচ করেছিলাম।’