নাসিম রুমি: গত ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে হৃতিক রোশন, দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ছবি ‘ফাইটার’। ছবিতে বিমানসেনা অফিসারের চরিত্রে দেখা গেছে অভিনেতাকে। এই ছবির মাধ্যমে ভারতে প্রথমবার এল ‘অ্যারিয়াল অ্যাকশন’। এই ছবির জন্য গত দু’বছর ধরে হাড়ভাঙা খাটুনি করেছেন তিনি। শরীরকে একটি নির্দিষ্ট আকার দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়েছেন জিমে। খাওয়া দাওয়া একেবারে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। ছবির মুক্তি পর থেকে সেভাবে আর ক্যামেরার সামনে দেখা যায়নি অভিনেতাকে।
বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিজের ছবি দিলেন অভিনেতা। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, ক্রাচের সাহায্যে ভর দিয়ে হাঁটছেন।
এলোমেলো চুল, গাল ভর্তি দাঁড়ি, পরনে হাফ প্যান্ট। দু’হাতে ক্রাচ। দিন কয়েক আগেই অভিনেতার পেশিতে টান লাগে, কিছুটা আঘাত পান তিনি। যার ফলে চলতে ফিরতে অসুবিধা হয়। হাঁটতেও পারছেন না সেভাবে। তবে তারকা বলেই ক্রাচ ব্যবহার করবেন না, তেমনটা নয়। বরং সুস্থ হয়ে উঠতেই ক্রাচের অবলম্বন গ্রহণ করছেন। হৃতিক তার এই কঠিন সময়ে জানান, পুরুষেরা অনেক সময় শক্ত দেখাতে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভাবেন না। উদাহরণ হিসেবে নিজের দাদু ও বাবার কথাও উল্লেখ করেন।
হৃতিক তার পোস্টে লেখেন, জানি না, আপনাদের কত জনের ঠিক হুইলচেয়ারে বসে বা ক্রাচ নিয়ে হাঁটার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি আমার ঠাকুরদাকে দেখেছি। শারীরিক কষ্ট রয়েছে। তবু হুইলচেয়ারে বসবেন না। কারণ, তাতে তার দুর্বলতা ফুটে উঠবে। আমার বাবাকেও দেখেছি, এক রকম জেদ করতে। তবে, আসলে শক্তি সেটাই যেটা তোমাকে সহজ হতে শেখায় অন্য কোনও দুশ্চিন্তা ছাড়া। সারা ক্ষণ পুরুষ মানেই কঠিন— এই ছবির বিপরীতে গিয়ে ভাবলে নিজেদের কষ্টই লাঘব হয়।