এ কে আজাদ: রানু। আহমেদুর রহমান রানু। নৃত্যশিল্পী-নৃত্যপরিচালক ও অভিনেতা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এই গুণী মানুষটি অভিনয় করেছেন কমেডি চরিত্রে। বাস্তব জীবনে সিরিয়াস মানুষ আহমেদুর রহমান রানু, চলচ্চিত্রে কৌতুক অভিনেতা হিসেবেই পেয়েছেন সর্বাধিক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা।
কৌতুক অভিনেতা ও নৃত্যপরিচালক আহমেদুর রহমান রানু’র মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৯৭ সালের ১২ ডিসেম্বর, মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। প্রয়াত এই গুণী মানুষটির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ।
আহমেদুর রহমান রানু ১৯২৮ সালে, বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। অভিনেতা ও নৃত্যশিল্পী আহমেদুর রহমান রানু, মঞ্চ থেকে চলচ্চিত্রে আসেন। আবদুল জব্বার খান পরিচালিত ১৯৬২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জোয়ার এলো’ ছবিতে অভিনয় ও নৃত্যপরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তাঁর। রানু অভিনীত ও নৃত্যপরিচালিত ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- তালাশ, প্রীত না জানে রীত, ধারাপাত, এই তো জীবন, উলঝান, দুই দীগন্ত, কাজল, ডাক পিওন, সাইফুলমুলক বদিউজ্জামাল, রাজা এলো শহরে, দুইভাই, বালা, সুয়োরাণী দুয়োরাণী, পরশ মণি, কুঁচবরন কন্যা, সূর্য ওঠার আগে, নতুন সুর, রূপকুমারী, যৌতুক, সমাপ্তি, জীবন থেকে নেয়া, ঘূর্ণিঝড়, ডাকবাবু, দেনাপাওনা, কার হাসি কে হাসে, ওরা ১১ জন, জানোয়ার, অনির্বাণ, ডানপিটে ছেলে, দেবর ভাবী, উত্তরণ, বন্দিনী, যাদুর বাঁশী, জয় পরাজয়, বধূ বিদায়, আলো তুমি আলেয়া, আঁধারে আলো, জনতা এক্সপ্রেস, কুদরত, দোস্তী, দুই পয়সার আলতা, সোহাগ মিলন, দিন যায় কথা থাকে, ঘর সংসার, বানজারান, আঁখি মিলন, মহানায়ক, নতুন পৃথিবী, আমিই ওস্তাদ, নিয়তির খেলা, চোর, ধনদৌলত, সন্ধি, শুভদা, সন্ধান, রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত, স্বর্গ নরক, জিনের বাদশা, শর্ত, ইত্যাদি।
চলচ্চিত্র ছাড়াও আহমেদুর রহমান রানু, মঞ্চ-বেতার -টেলিভিশনেও অভিনয় করেছেন।
একজন গুণী নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিচালক হয়েও, বেশীরভাগ ছবিতেই কমেডি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদুর রহমান রানু। দক্ষ কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয়ও ছিলেন। আহমেদুর রহমান রানু’র মতো গুণী ও ভালো মানুষদের কর্ম ও জীবন- চির অম্লান হয়ে থাকবে।