নাসিম রুমি: নব্বইয়ের দশকে বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী ছিলেন কারিশমা কাপুর। ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ডের পরিবারে জন্ম নিলেও বড় পর্দায় নাম লেখানোটা তার জন্য সহজ হয়নি।
প্রথমত, পরিবার রাজি ছিল না। কিন্তু কারিশমাও নিজের অবস্থান থেকে নড়েননি। বেশ কঠিন সময় পার করেই তাকে বলিউডে জায়গা করে নিতে হয়েছিল। তারপর প্রায় আকস্মিকভাবেই বলিউড থেকে সরে যান এ অভিনেত্রী। অনেক হিট সিনেমার নায়িকা কারিশমা বলিউডের সঙ্গে আর তেমন কোনো সম্পর্ক রাখেননি।
রাজ কাপুরের পরিবারের সদস্য কারিশমা বলিউডে আসার জন্য রীতিমতো পরিবারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। পরিবারের কারো সহায়তা ছাড়াই তাকে বলিউডে নিজের স্থান তৈরি করতে হয়েছিল।
একসময় তিনি হয়ে ওঠেন পরিচালকদের প্রথম পছন্দ। তার বেশির ভাগ হিট সিনেমা ছিল ডেভিড ধাওয়ানের পরিচালনায়। আর তার বিপরীতে ছিলেন শাহরুখ খান, সালমান খান ও গোবিন্দ।
কারিশমা কাপুরের মাত্র ১৬ বছর বয়সে বড় পর্দায় অভিষেক হয় প্রেম কয়েদি সিনেমার মাধ্যমে। কিন্তু সে সময় পরিবারের কেউ কারিশমার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেননি। বোন কারিনা কাপুর সিমি গ্রেওয়ালের শোয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।
১৯৯৬-৯৯ ছিল কারিশমা কাপুরের ক্যারিয়ারের সেরা সময়। এ সময় তার হিট সিনেমাগুলোর মধ্যে ছিল সাজান চলে শশুরাল, জিত, কৃষ্ণা, রাজা হিন্দুস্তানি, হিরো নাম্বার ওয়ান, বিবি নাম্বার ওয়ান, আন্দাজ আপনা আপনা, জুড়ুয়া। ২০০১ ও ২০০২-তে কাজ করেন ফিজা ও জুবাইদা সিনেমায়, যা তাকে সমালোচকদের প্রশংসা এনে দেয়। কারিশমা ২০০৭ পর্যন্ত বলিউডে সক্রিয় ছিলেন।
এরপর বলিউড থেকে সরে যান। বহুদিন নীরব থাকার পর এ বছর সন্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে কারিশমা জানান, ক্লান্তি থেকেই তিনি বলিউড থেকে সরে যান এবং লাইমলাইট থেকে সরে গিয়ে তিনি ভালো ছিলেন। কারিশমার কথায় খুবই অল্প বয়সে ক্যারিয়ার শুরু করায় এবং কাজের প্রচণ্ড চাপ থাকায় তারুণ্যের অনেক নিজস্ব সময়ই তিনি উপভোগ করতে পারেননি। অনেক বছর দিনে তিন-চার শিফটে কাজ করেছেন। তাই একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়লে অভিনয় থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।