বলিউডের সঙ্গীত জগতের আরও এক তারা খসে পড়ল। ‘আলবিদা কেকে’- এই কথা বলতে গিয়েই বুকের ভিতরটা কেমন ছ্যাৎ করে উঠল। সোমবার ও মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে দুটি কলেজের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন কেকে। গান গাইতে গাইতেই জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় নিলেন কৃষ্ণকুমার কুনাথ!
অসুস্থতার জেরেই মৃত্যু নাকি এই মৃত্যুর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে কলকাতা নিউমার্কেট থানায়। পরিবারের সম্মতি নিয়েই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কেকে’র মরদেহ এই মুহূর্তে রাখা আছে কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালের মর্গে। গায়কের শেষ ছবিতে স্পষ্ট দেখা যায় কেকে’র কপালে ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তবে মৃত শিল্পী ও তার পরিবারের গোপনীয়তার স্বার্থে সেই ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
মঙ্গলবার উল্টোডাঙার গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করছিলেন কেকে। এদিন মঞ্চে বেশ অস্বস্তিবোধ করছিলেন তিনি, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল তার শেষ স্টেজ শো-এর ভিডিওতে। কখনও তাকে তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে দেখা যায়, কখনও আবার ইশারায় সহযোগীদের স্পটলাইট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি, যদিও গরমের কারণে এমনটা অনেক সময়ই ঘটে থাকে শিল্পীদের সঙ্গে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারাত্মক কিছু একটা ঘটে যাবে তা কে জানত?
মঙ্গলবার রাতে শেষ মুহূর্তে ঠিক কী ঘটেছিল কেকে’র সঙ্গে? তা খতিয়ে দেখতে ধর্মতলার পাঁচতারা হোটেলের শিফট ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে স্থানীয় পুলিশ। খতিয়ে দেখা হবে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও। হোটলের অনান্য কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ, কথা বলা হবে অনুষ্ঠানের আয়োজক এবং নজরুল মঞ্চের কর্মীদের সঙ্গেও।
মনে করা হচ্ছে, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের কারণেই মৃত্যু হয়েছে কেকে’র। তবে আসল কারণ খতিয়ে দেখতে পরিবারের অনুমতি নিয়েই ময়নাতদন্ত করা হবে মরদেহের।
জানা গেছে, নজরুল মঞ্চে প্রায় ২ ঘণ্টার অনুষ্ঠান শেষ করে হোটেলে পৌঁছে অস্বতিবোধ করলেও লবিতে বেশ কিছু ভক্তদের সঙ্গে ছবি তোলেন কেকে। এরপর অসুস্থতার কথা জানিয়ে হোটেলের রুমে ঢোকেন। সেখানে সোফায় বসে বমি করেন শিল্পী, তারপর মুখ থুবড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন… সেই সময় তার সঙ্গে ছিলেন ম্যানেজার রীতেশ ভাট। এরপর সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কেকে-কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ইতোমধ্যেই কলকাতায় পৌঁছেছেন কেকে’র স্ত্রী জ্যোতিকৃষ্ণ এবং তার সন্তানেরা।