ছোট ও বড় পর্দার অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে কেউ ‘কিংবদন্তি’ অভিহিত করে প্রশংসা করলে তিনি আনন্দিত বা গর্বিত হওয়ার চেয়ে অনেক বেশি ‘বিব্রত’ হন বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে কারো মুখে ‘অভিনেতা’ বা ‘প্রিয় অভিনেতা’ শুনলেই মহা আনন্দিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার (০৫ জুলাই) সন্ধ্যায় নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক ভক্তের সঙ্গে কথা বলার সময় করা একটি ভিডিও শেয়ার করে এমনটি জানান ‘আয়নাবাজি’খ্যাত এই অভিনেতা।
ভিডিওতে এক কিশোরের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় চঞ্চলকে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ওই কিশোরের নাম হৃদয়। প্রিয় অভিনেতার সঙ্গে দেখা করতে শুটিং সেটে ছুটে যায় সে। তখন চঞ্চলের গাওয়া ‘মনপুরা’ সিনেমার ‘নিথুয়া পাথারে’ গানটিও গেয়ে শোনায় ওই কিশোর। পরে চঞ্চলও তার অনুরোধে ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানের কয়েক লাইন গান।
ওই কিশোর ভক্তের ভালোবাসা দেখে আপ্লুত হয়ে চঞ্চল ভিডিওর ক্যাপশনে লেখেন, ‘নীচের ভিডিওতে যে ছেলেটাকে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, ওর নাম ‘হৃদয়’। কিছুদিন আগে উত্তরায় একটি শুটিং লোকেশনে ওর সাথে দেখা…দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। তারপরের অংশটুকু আমার মেকআপ আর্টিস্ট মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে। এত মানুষের ভালোবাসা…এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন, শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। ’
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেতা আরও লেখেন, ‘‘অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। অতি প্রশংসা বা সম্মান প্রদর্শনের আরেক নাম তৈল মর্দন। যেমন, মাঝে মধ্যেই আমার পোস্টের কমেন্টে বা ইনবক্সে আমাকে ‘কিংবদন্তী’ অভিনেতা হিসেবে অভিহিত করে অনেকেই অনেক প্রশংসা করে থাকেন। তাতে আমি আনন্দিত বা গর্বিত হওয়ার চেয়ে, অনেক বেশি বিব্রত হই। সোজা সাপ্টা কথা বলি, আসলে এত বড় ‘বিশেষণ’ ধারণ করার যোগ্যতা আমার নেই। ‘অভিনেতা’ বা ‘ প্রিয় অভিনেতা’ এটুকু বললেই আমি মহা আনন্দিত বা আহ্লাদিত হই। ’’
‘একজন ভালো মানুষ’ চঞ্চলের কাছে সবচেয়ে বড় উপাধি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অভিনেতা জানান, তার ভেরিফায়েড পেজের ফলোয়ার সংখ্যা সম্প্রতি ১৫ লাখ অতিক্রম করেছে। এজন্য সবার প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।