বাবা চাঙ্কি পান্ডের জীবনের লড়াই থেকে অনেক কিছু শিখেছেন বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পান্ডে। সেই শিক্ষা তাকে মাটিতে পা রেখে চলতে শিখিয়েছে। জন্মের পর থেকেই দেখছেন, বাবার ক্যারিয়ারের ওঠানামা। বিশেষ করে, জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখে আসছেন— বাবা চাঙ্কির ক্যারিয়ার ডুবন্ত। আশি ও নব্বইয়ের দশকে তারকার তকমা ছিল চাঙ্কির।
অনন্যার জন্ম ১৯৯৮ সালে। সেই সময় থেকেই হাতে কাজ কমতে থাকে চাঙ্কির। তখন অন্য ধরনের চরিত্রে কাজ করা শুরু করেন অভিনেতা। তবে শুধু অভিনয় নয়, একটা সময় নানা ধরনের কাজ করতে হয়েছে চাঙ্কিকে। লোকের বিয়ে থেকে শুরু করে বাচ্চার অন্নপ্রাশন— এমনকি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতেও গেছেন। তবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় শুধু গেলেই হয় না, টাকা বেশি পাওয়া যায় একটি কাজ করলে।
সম্প্রতি কপিল শর্মার শোয়ে এসে নিজের অভিনয় জীবনের নানা অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নেন চাঙ্কি। সেখানেই জানান, ক্যারিয়ারের বিভিন্ন পর্যায়ে নানা ধরনের কাজ করতে হয়েছে তাকে। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা কখনো বিয়েবাড়িতে নিয়ে যেতেন, কখনো আবার সাধের অনুষ্ঠানে, কখনো শোকের বাড়িতে যেত হতো থমথমে মুখ নিয়ে। দুই ফোঁটা চোখের পানি ফেললে তো কথাই নেই! টাকার অঙ্কটা হয়ে যেত দ্বিগুণ।
চাঙ্কি বলেন, একদিন হঠাৎ এক অনুষ্ঠান আয়োজকের ফোন এলো— দাদা কী করছেন?, জানালাম শুটের জন্য বেরোচ্ছি। তিনি বললেন—একটা শো আছে, শোকের বাড়িতে যেতে হবে। শুধু সাদা পাঞ্জাবি পরে চলে আসবেন। কথামতো গেলাম, দেখলাম মরদেহ শায়িত। সবার মুখ থমথমে। সেখানে যেতেই ভিড় থেকে সরিয়ে আয়োজক বললেন— দাদা টাকার প্যাকেট আমার হাতে, একটু যদি কাঁদেন, আরও বেশি টাকা দেবে। চাঙ্কিও তখন চোখের পানি ফেলে টাকার প্যাকেট নিয়ে চলে গেলেন শুটিংয়ে।