নাসিম রুমি: সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বরুণ ধাওয়ান জানান সিদ্ধার্থ মালহোত্রাকে প্রথম শুটিং সেটে দেখে হীনম্মন্যতায় ভুগতে শুরু করেছিলেন। সিদ্ধার্থ লম্বা ও সুপুরুষ তাই নিজেকে নিয়ে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন বরুণ ধাওয়ান। কর্ণ জোহরের ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ থেকে অভিনয়ের যাত্রা শুরু বরুণ ও সিদ্ধার্থের। আধুনিক ফ্যাশনের সাজে দেখা গিয়েছিল দুই তরুণ অভিনেতাকে। প্রথম ছবিতেই ভক্তদের মন জয় করেছিলেন দু’জনে। কিন্তু সিদ্ধার্থকে দেখে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন বরুণ।
বরুণ বলেন, ‘সিদ্ধার্থ খুবই সুদর্শন। ছবিতে দু’জন নায়ক। সেই সময় আমার মনে হয়েছিল,ও তো অনেক সুদর্শন। দর্শক ওকেই শুধু দেখবে। আমার দিকে ফিরেও তাকাবে কি না সন্দেহ আছে।”
তবে শুধু বাইরের সৌন্দর্য নয়। বলিউডের নেপোটিজম নিয়েও চিন্তায় ছিলেন বরুণ। ডেভিড ধওয়ানের পুত্র বলে হয়তো সহজেই কাজ পেয়ে গিয়েছেন। মানুষ হয়তো এমনই ভাববে, আশঙ্কা ছিল বরুণের। তার কথায়, ‘নেপোটিজম নিয়ে নেতিবাচক আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছিল তত দিনে। আমি কিন্তু কোনও পরিকল্পনা করে অভিনয় দুনিয়ায় আসিনি। আমি শুধু জানতাম, আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং আমি যথেষ্ট যোগ্য। কিন্তু কিছু মানুষ নেতিবাচক কথা বলেছিল। কিন্তু আমি লড়াই করে গিয়েছি। যা-ই হয়ে যাক, লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
তবে একটা সময় নিন্দুকদের মুখ বন্ধ হয়ে যায় বলে দাবি বরুণের। তার কথায়, ‘একটা সময়ে আমার ছবিগুলো সফল হতে শুরু করে। তখন মানুষের মতামতেও বদল আসে।’ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বরুণের ছবি ‘বেবি জন’। ক্যালিস পরিচালিত এই ছবিতে রয়েছেন ওয়ামিকা গব্বি ও কীর্তি সুরেশও।