English

25 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

এ বছর দেশের শোবিজে যাদের বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে

- Advertisements -

মিডিয়ার বিয়ে টেকে না। এমন কথা সবখানেই প্রচলিত। বিষয়টাকে যদিও মেনে নিতে চাননা মিডিয়ার মানুষেরা। তারপরেও প্রতি বছর ‘মিডিয়ার বিয়ে টেকে না’ তত্ত্ব কেউ কেউ সত্য করে যাচ্ছেন। ২০২০ সাল ছিল এমনিতে করোনার কারণে অভিশপ্ত। বিভীষিকাময় এই বছরেও মিডিয়া বেশ ক’টি বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে।
অপূর্ব-নাজিয়া
নাটকের জনপ্রিয় তারকা অপূর্বর বিচ্ছেদ হয় করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই। বিয়ের নয় বছরের মাথায় নাজিয়া হাসান অদিতির সঙ্গে অপূর্বের বিচ্ছেদ ঘটে। নিজেদের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিচ্ছেদের খবর জানান তারা। সঙ্গে জানান, বিচ্ছেদের জন্য কেউ দায়ী নন। তবে ঠিক কী কারণে বিচ্ছেদ হয়েছে, সে বিষয়ে অপূর্ব ও অদিতি কেউ মুখ খুলেননি।অপূর্ব- নাজিায়ার বিয়ে হয় ২০১১ সালের ২১ ডিসেম্বর। তাদের ঘরে জায়ান ফারুক আয়াশ নামে এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। অপূর্বের দ্বিতীয় বিয়ে এটি। এর আগে অভিনেত্রী প্রভার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ২০১১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সেটাও বিচ্ছেদ হয়।
শাবনূর-অনিক 
বনিবনা না হওয়ায় ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি সম্পর্ক বিচ্ছেদ করেন শাবনূর। তালাকের নোটিশ স্বামীর ঠিকানায় পাঠান ৪ ফেব্রুয়ারি। সেখানে শাবনূর জানান, উভয়ের মধ্যে বনিবনা না হওয়াতেই এ বিচ্ছেদ চান তিনি। শাবনূরের মতো তারকার ডিভোর্স নিয়ে মিডিয়াপাড়ায় আলোচনা চলতে থাকে দীর্ঘদিন। ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিকের সঙ্গে আংটি বদল হয় শাবনূরের। পরে ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তারা। সে বছরই তাদের প্রথম পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।
পরীমনি-রনি
চলতি বছরের ১০ মার্চ চিত্রনায়িকা পরীমনি হুট করে বিয়ে করে বসেন । সে সময় পরী জানান, মাত্র তিন টাকা দেনমোহরে নাট্যনির্মাতা কামরুজ্জামান রনিকে বিয়ে করেছেন তিনি। কিন্তু তিন টাকার বিয়ে তিন মাসও যায়নি। বিয়ের কয়েকদিন পরই আলাদা থাকা শুরু হয় তাদের। অবশেষে প্রকাশ্যে আসে তাদের বিচ্ছেদের খবরও। যদিও এ নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি কামরুজ্জামান রনি। এর আগে বিনোদন সাংবাদিক তামিম হাসানের সঙ্গে ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল পরীর। কথা ছিল যেকোনো ১৪ এপ্রিল বিয়ে করবেন তারা। তাদের আর বিয়ে করা হয়নি। বিয়ের আগেই পথ আলাদা হয়ে যায় তাদের।
মুনমুন-মোশাররফ হোসেন
এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা মুনমুনেরও বিচ্ছেদ হয়েছে এ বছর। বিচ্ছেদ আগে হলেও সেটা খবরে আসে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে। ২০০৯ সালে মোশাররফ হোসেন নামে এক অভিনেতাকে বিয়ে করেছিলেন মুনমুন। সালমান ও যশ নামে দুই সন্তান রয়েছে তাদের। বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে মুনমুন জানান, দুই সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে সংসার তাকেই চালাতে হচ্ছিল। সিনেমায় লগ্নি না করে অন্য ব্যবসা শুরু করার তাগিদ দিচ্ছিলেন স্বামী মীর মোশাররফ হোসেনকে। কিন্তু সে শুনেনি। সে সিনেমা নিয়ে পড়ে আছে। সংসারের কোনো দায়িত্বই নেয় না। তাই বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদ। এটা মুনমুনের দ্বিতীয় বিয়ে। ২০০৩ সালে সিলেটের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছিলেন মুনমন।
শবনম ফারিয়া-হারুন অর রশীদ অপু
বছরের আলোচিত ডিভোর্স শবনম ফারিয়ার। তিন বছর প্রেম শেষে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে হারুন অর রশীদ অপুর সঙ্গে আংটি বদল করেন তিনি। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে জমকালো আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন এ অভিনেত্রী। কিন্তু বেশি দিন করা হলো না সংসার। ২৭ নভেম্বর বিচ্ছেদপত্রে সই করেন অপু-ফারিয়া। ২৮ নভেম্বর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফারিয়া নিজেই।
তমা মির্জা-হিশাম চিশতি
২০১৯ সালের মে মাসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় ব্যবসায়ী হিশাম চিশতির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নায়িকা তমা মির্জা। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় এসে আলাদা থাকতে শুরু করেন তারা। একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও করেছেন। মামলায় হিশাম চিশতি উল্লেখ করেছেন, পাওনা টাকা চাওয়ায় তাকে হত্যাচেষ্টা করেন তমা ও তার পরিবার। অন্যদিকে যৌতুক, নির্যাতন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তমা মির্জা। এরপর তমা মির্জা জানান, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে হিশামকে ডিভোর্স দিচ্ছেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন