নাসিম রুমি: ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক রিয়াজ। রোমান্টিক ঘরানার সিনেমায় তিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। আর সেকারণে তাকে ‘লাভার বয়’ তকমা পেয়েছিলেন।
রিয়াজ এখন আর অভিনয়ে নিয়মিত নন। মাঝে মাঝে দুয়েকটি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। নিজের বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান নিয়েই এখন ব্যস্ত তিনি।
তবে এবার চলচ্চিত্র পরিচালনায় নাম লেখাতে চলেছেন রিয়াজ। সেই ছবির প্রযোজনাও করবেন তিনি। দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন এ অভিনেতা।
রিয়াজ বলেন, ‘আমি অন্যের প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণ করতে আগ্রহী নই। কারণ সিনেমা নির্মাণ করব কিন্তু এরপর অর্থ ফেরত দেবার গ্যারান্টি আমি দিতে পারব না। তাই নিজের প্রযোজিত সিনেমা দিয়েই সিনেমার পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করব অচিরেই।
এদিকে সবশেষ রিয়াজকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় দেখা গেছে। এতে তিনি তাজউদ্দিন আহমেদের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যা দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়।
১৯৯৩ সালের দিকে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং চাচাতো বোন, খ্যাতিমান অভিনেত্রী ববিতার হাত ধরে সিনেমায় যুক্ত হন। ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম সিনেমা ‘বাংলার নায়ক’। অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে জনপ্রিয় নায়কে পরিণত হন রিয়াজ। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘হৃদয়ের বন্ধন’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘রং নাম্বার’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ইত্যাদি।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে তিনবার পুরস্কার পেয়েছেন রিয়াজ। এ ছাড়া সাতবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই অভিনেতা।