বলিউডে রিমেকের প্রচলন বহুদিনের। বিদেশি ছবির রিমেক থেকে দক্ষিণী ছবির হিন্দি সংস্করণ— ইদানিং রিমেকের দিকে আরও বেশি ঝুঁকেছে বলিউড। সম্প্রতি একাধিক দক্ষিণী ছবির রিমেকে অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমারের মতো তারকা থেকে শুরু করে কার্তিক আরিয়ানের মতো নতুন প্রজন্মের অভিনেতাও। এবার সেই রিমেক সংস্কৃতি নিয়ে মুখ খুললেন বলিউডের অভিজ্ঞ অভিনেত্রী কাজল।
নব্বইয়ের দশকের একাধিক জনপ্রিয় ছবির নায়িকা কাজল। তার মধ্যে অন্যতম ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’। ছবিতে ‘সিমরান’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কাজল। বলিউডে একা হাতে প্রেমের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছিল এই ছবি। এই ছবির হাত ধরেই বলিউড পেয়েছিল আগামীর ‘রোম্যান্টিক হিরো’ শাহরুখ খানকে। আদিত্য চোপড়া পরিচালিত ‘ডিডিএলজে’ সেই দিক থেকে যুগান্তকারী এক ছবি। প্রায় ২৮ বছর পর আজও সেই ছবির আবেদন অমলিন। আজকের প্রেক্ষাপটে সেই ছবির রিমেক হলে কেমন হয়? প্রশ্ন ওঠে প্রায়ই। ‘ডিডিএলজে’-র রিমেকের প্রশ্নে এবার মুখ খুললেন কাজল। বললেন, “সিনেমার আসল জাদু তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আবেগে। সেই আবেগের রিমেক করা সম্ভব নয়।”
কাজলের মতে, “ওই জাদু একবারই তৈরি করা যায়। বারবার তৈরি করতে গেলে সেই বিশেষত্বটাই হারিয়ে যায়।”
শুধু ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ নয়, ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ ছবিরও রিমেকেও নারাজ কাজল। ২০০১ সালে মুক্তি পায় করন জোহর পরিচালিত এই ছবি। পরিবার ও ভালবাসার টানাপোড়েনের এই ছবি মন জয় করেছিল বৃদ্ধ-যুবক সকলের। আধুনিকতার মোড়কে সেই ছবি পরিবেশন করলে কেমন হয়? কাজলের দাবি, “যত ভাল অভিনেতাই অভিনয় করুন না কেন, সেই উচ্চতায় পৌঁছতে না পারলে দর্শক বরং হতাশই হবেন।”
রিমেক নিয়ে এর আগেও একাধিকবার আপত্তি জানিয়েছেন কাজল। মূল ছবির পর্যায়ে কখনওই পৌঁছতে পারবে না রিমেক, বিশ্বাস অভিনেত্রীর।