এবার আরজি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় মুখ খুলেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা সাংসদ দীপক অধিকারী দেব। এর আগে, কলকাতায় ছিলেন না দেব। ফিরেই আবার বাবার অসুস্থতার খবর পান। সোজা চলে যান হাসপাতালে। এত কিছুর মধ্যে আর্টিস্ট ফোরামের ডাকা গণ অবস্থানে যোগ দেন দেব। সেখানেই ধর্ষণের মতো অপরাধের কড়া শাস্তি চাইলেন এই তৃণমূল সাংসদ। তার মতে, যারা ধর্ষণ করবে তাদের একটাই শাস্তি, সেটা হল- ফাঁসি।
সেই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ‘রাজনৈতিক’ আবেদনও জানিয়েছেন দেব। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেব বলেন, যা হয়েছে অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা সবাই চাই, বাংলার প্রত্যেকটা মানুষ ভারতবর্ষের প্রত্যেকটা মানুষ চাই যে যারা ধর্ষক, যারা এর সঙ্গে যুক্ত আছে তাদের সবার ক্যাপিট্যাল পানিশমেন্ট দরকার। আজ থেকে নয়, দুই-আড়াই বছর আগে থেকে বলছি যে যতদিন না মানুষের মধ্যে ভয় হবে, যতদিন না মানুষ ভয় পাবে ততদিন এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে থাকবে। আমাদের এখনই ধর্ষকদের ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট দেওয়া শুরু করতেই হবে।
আরজি করের ঘটনার পর প্রায় দুই সপ্তাহ কেটে গেছে। দেব জানান, এত বড় একটা আন্দোলন হচ্ছে। অপরাধীদের ভয় লাগছে না? আমরা কোন দেশে বাস করছি? ১৪ আগস্টের রাত দখলের কর্মসূচির প্রশংসা করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর এত বড় এত সুন্দরভাবে একটা আন্দোলন দেখল ভারতবর্ষ।
অভিনেতা মনে করেন রাজনৈতিক সুবিধাবাদিদের প্রভাবে এই আন্দোলন গতিপথ হারাচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতবর্ষের প্রত্যেকটা মেয়ে যেন রাত দশটার পর নিশ্চিন্তে রাস্তায় বেরোতে পারে, তবেই এই আন্দোলনের সার্থকতা। প্রধানমন্ত্রীকে একটাই কথা বলতে চাই। যদি রাজনৈতিক হয় তাহলে ১১ বছরে প্রথমবার রাজনীতিবীদ হিসেবে বলছি, ভারত এক মাসের মধ্যে ধর্ষণের ক্যাপিট্যাল পানিশমেন্ট দিতে পারে। তাহলেই দেশটা ঠিক হবে।
উল্লেখ্য, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে এক তরুণী চিকিৎসককে হাসপাতালের ভেতরেই ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল দেশটি। ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তির ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন খোদ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।