ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছেন হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি। এরপর তিনি বেড়ে ওঠেন নানাবাড়িতে। পরীর ক্যারিয়ারে প্রাপ্তি, সাফল্য কিছুই দেখে যেতে পারেননি তার মা। যা নিয়ে আজও যন্ত্রণায় ভুগেন এই অভিনেত্রী। তবে নানা শামসুল হক গাজী সেই যন্ত্রণা কিছুটা হলেও লাঘব করেছে। পরীর পাশে সবসময় ছায়ার মতো রয়েছেন তিনি। এ ছাড়া এই পরিবারের আদর-ভালোবাসায় বেড়ে ওঠেছেন তিনি। আর সে কারণে নিজেকে অনাথ মানতে নারাজ বিশ্বসুন্দরী’খ্যাত এই চিত্রনায়িকা। তার কাছে এতিম বা অনাথ শব্দটাও গালির মতো।
পরী বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে এতিম বা অনাথ শব্দটার সঙ্গে পরিচিত নই। আমার মা যে বেঁচে নেই। সেটা আমার পরিবার কখনোই বুঝতে দেয়নি। আমি ছোট থেকেই খুব অন্যভাবে বড় হয়েছি। বলা যায়, সেটা আমার পরিবারেরই অবদান।’
এদিকে, সুযোগ পেলেই পরী বিভিন্ন সময় এতিম-অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। আর পরীর এই গুণটির কথা শোবিজের লোকজনও অকপটে স্বীকার করেন। এই তো গেল ক’দিন আগে, দুই অসহায় শিশু মরিয়ম ও নূরের সাহায্য এগিয়ে আসেন পরী। দরিদ্র রিকশাচালক বাবার দুই কন্যাকে নিজ ছেলে রাজ্যর সঙ্গে লালন-পালনের ইচ্ছাও পোষণ করেন এই অভিনেত্রী।
অন্যদিকে, স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে নানা বিতর্কের পরও পরীর জগতজুড়ে এখন কেবলই তার ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। সন্তানকে নিয়েই অভিনেত্রীর সকল ব্যস্ততা ও আয়োজন। আর আপাতত এ নিয়েই থাকতে চান পরীমণি।