নাসিম রুমি: পর্দায় তিনি কখনও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের নায়ক, আবার কখনও বাবা। তিনি উত্তম মহান্তি। বৃহস্পতিবার রাতে গুরুগ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালে অসুখের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মৃত্যু হয় তাঁর। ঋতুপর্ণা শোকস্তব্ধ। তিনি বলেছেন, “বাংলায় যেমন উত্তমকুমারের জনপ্রিয়তা ওড়িশায় সমান জনপ্রিয় উত্তম মহান্তি। যেমন সুপুরুষ তেমনই সুন্দর হাসি। আচার-আচরণেও তিনি উত্তম! আমার অভিনয়ের প্রথম জীবনের নায়ক। ওঁর হাসিমুখ দেখলেই মন ভাল হয়ে যেত।”
ওড়িশার এই খ্যাতনামী নায়কের সঙ্গে ঋতুপর্ণার অভিনয় জীবনের লম্বা সফর। আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছেন, “পাঁচটি ছবিতে সম্ভবত আমরা অভিনয় করেছিলাম। ওঁর জন্মস্থান বারিপদায় আমরা কত নাচের দৃশ্যের শুটিং করেছি। এত হিট ছবির নায়ক। কিন্তু কী মিষ্টি ব্যবহার। আমাকে উল্টে ডাকতেন ‘সুইট মেয়ে’ বলে!” ঋতুপর্ণা তখন সদ্য অভিনয় দুনিয়ায় এসেছেন। উত্তম তাঁকে দেখে খুব খুশি হয়েছিলেন। সেটে বাকিদের বলেছিলেন, “এই ছোট্ট, মিষ্টি মেয়েটা কে?” তার পর থেকেই ওই বিশেষ নামে সম্বোধন।
“উত্তম যেমন অনেক বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন তেমনই আমিও ওঁর কয়েকটি ওড়িয়া ছবির নায়িকা। কিছু ছবিতে আমাদের সঙ্গে মহাশ্বেতাদিও অভিনয় করেছিলেন। সেটে সবাই মিলে খুবই মজা করতাম”, স্মৃতি রোমন্থন ঋতুপর্ণার। পরে স্বপন সাহার একটি ছবিতে তিনি নায়িকার বাবা! নায়িকা তখন লেক মার্কেটে থাকেন। বাংলা ছবিতে অভিনয়ের সময় উত্তম মহান্তি লেক মার্কেটের এক গেস্ট হাউসে প্রায়ই থাকতেন। সেই সময় ঋতুপর্ণার বাড়িতে যেতেন। খাওয়াদাওয়া, আড্ডায় দিনগুলো যেন পাখা মেলে উড়ে যেত। অভিনেত্রীর বাবাকে খুবই শ্রদ্ধা করতেন সদ্যপ্রয়াত অভিনেতা। তার পরেও অনেক বার দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে দু’জনের। এখন সে সব স্মৃতি।