টালিউডে চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তের বিচ্ছেদ জল্পনা। ইতোমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে স্বামীর পদবি মুছে ফেলেছেন নীলাঞ্জনা। ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ তারকা জুটির ডিভোর্সের আইনি প্রক্রিয়াও শুরু রয়েছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নীলাঞ্জনা বলেন, ‘আগে যারা কথায় কথায় যাওয়া-আসা করতেন, বা বাড়ির যে কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতেন এখন তাদের অনেকেই আর নিমন্ত্রণ করেন না নিজেদের কোনও অনুষ্ঠানে।’ তবে সেই নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই অভিনেত্রী-প্রযোজকের মনে। বরং নিজের জন্য সময় বের করতে শিখেছেন।
একসময় ভালোবেসে যখন যিশুর হাত ধরেন নীলাঞ্জনা, তখন তিনি মুম্বাইয়ের নামি অভিনেত্রী। তবে সংসার করতে সেসব ছেড়ে চলে আসেন কলকাতা। এরপর দুই সন্তানের জন্ম। যদিও তিনি টলিউডের অন্যতম সফল প্রযোজক। তার দায়িত্বেই তিন বছর ধরে চলেছে হরগৌরী পাইস হোটেল। সঙ্গে বর্তমানে তার নতুন প্রযোজনা সংস্থা নিনি চিনস মাম্মাস প্রোডাকশন থেকে চলছে আনন্দী।
সত্যি কি হাত ছেড়েছে টলিউডের বন্ধুরা? একথা সত্যি, পূজা হোক বা বড়োদিন, দিওয়ালি হোক বা নিউ ইয়ার, দুই মেয়ের সঙ্গেই দেখা গিয়েছে নীলাঞ্জনাকে। কখনো তার সঙ্গে থাকেন বোন চন্দনা শর্মাও। কিন্তু সেভাবে সত্যিই টলিউডের পার্টিতে নেই তিনি।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় নীলাঞ্জনা আনফলো করেছেন যীশুকে। এমনকি, বড় মেয়ে সারাও আর ফলো করেন না বাবাকে। যদিও যীশু বউ ও মেয়ে, দুজনকে এখনও ফলো করেন। মাঝে খাদানের কাজে টানা অনেকটা সময় কলকাতায় থাকলেও, যিশু ছিলেন তার বোনের কাছেই।
এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত জীবনে চলা বিতর্ক নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি যীশু। বরং তার জবাব ছিল, ‘এটা আমার ব্যক্তিগত জীবন। আমি কেন আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বাইরে কথা বলব। এরা তো কেউ আর আমার কোনো খরচ চালায় না। আমি একজন অভিনেতা। আমার কাজ আমার হয়ে কথা বলবে। এটাই আমার পরিচয়। এটা একদম আমার ব্যক্তিগত জায়গা। এটা কারও সঙ্গে শেয়ার করতে রাজি নই।’