আজাদ আবুল কাশেম: এক সময়ের দর্শকপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সোনা মিঞা’র মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি আজ থেকে ৫৫ বছর আগে, ১৯৬৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৭ বছর। প্রয়াত অভিনেতা সোনা মিঞা’র প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
অভিনেতা সোনা মিঞা ১৯২০ সালের ২৬ জানুয়ারী, বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পুরান ঢাকায় বসবাস করা সোনা মিঞা সেই সময়ে মঞ্চে অভিনয় করতেন।
১৯৫৬ সালের ৩ আগস্ট মুক্তিপ্রাপ্ত এদেশের প্রথম সবাক বাংলা চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে, সোনা মিঞা’র চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছিলো। প্রথম ছবিতে অভিনয় করেই চলচ্চিত্র দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। তখনকার সময়ে জনপ্রিয় এই অভিনেতা এরপর আরো বেশকিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
তিনি যেসব ছবিতে অভিনয় করেন সেগুলোর মধ্যে- মুখ ও মুখোশ, আকাশ আর মাটি, আসিয়া, বিষকন্যা (মুক্তিপায়নি), তোমার আমার, জোয়ার এলো, নাচঘর, রাজা এলো শহরে, গোধূলির প্রেম, পুণম কি রাত এবং অপরিচিতা অন্যতম।
সোনা মিঞা রেডিও এবং টেলিভিশনের নাটকেও অভিনয় করতেন। তখনকার সময়ে একজন সুপরিচিত নাট্যশিল্পী ছিলেন তিনি।
সোনা মিঞা’র ভাগ্নী (ভায়রাভাই এর মেয়ে) প্রয়াত নাজনীন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ষাটের দশকের নায়িকা ছিলেন।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন তাঁর ছেলে প্রয়াত ব্ল্যাক আনোয়ার। তাঁর মেয়ে রেহানা জলি আমাদের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় ও একজন গুণী অভিনেত্রী।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সূচনালগ্নের এসব গুণি শিল্পীদেরকে আজ আমরা ভুলেই গেছি। এদেশের চলচ্চিত্রশিল্পে ‘সোনা মিঞা’দের অবদান অনস্বীকার্য।